জেলার শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গার প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষক গোলাম রসুল, প্রথমবারের মতো ২ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে বাগানে ভরে গেছে সূর্যমুখী ফুল। কিছুদিন পর বীজ সংগ্রহ শুরু করবেন বলে জানান তিনি। গোলাম রসুল এখন টেলিভিশনকে জানান, '১ লাখের উপরে বিক্রি হবে। কেউ যদি করতে চায় তাহলে তাদেরকে সাহায্য করবো।'
সূর্যমুখী চাষ অত্যন্ত লাভজনক। এছাড়া খরচ অনেক কম হওয়ায় চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এলাকার অনেকে। আগামীতে আরও বেশি জমিতে চাষ করার কথা জানান তারা।
এদিকে সৌন্দর্যের টানে প্রতিদিনই বাড়ছে দর্শনার্থীর সংখ্যা। ফুলের সমারোহ দেখে এবং ছবি তুলে খুশি অনেকে।
সূর্যমুখী ফুল চাষে কৃষকদের পরামর্শ ও সব ধরনের সহযোগিতার কথা জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
শেরপুরের শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন, 'এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই রয়েছে। পাশাপাশি ভিটামিন-বি এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। ফুল কেউ যদি চাষাবাদ করে এর সম্পূর্ণ অংশই ব্যবহার করা যায়।'
শেরপুর জেলায় তিন হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, এ ফুলের বীজ থেকে ভোজ্যতেল এবং গাছ থেকে জ্বালানির চাহিদা মেটাতে আগামীতে এর চাষ বৃদ্ধি করা হবে।