গ্রামীণ কৃষি
কৃষি
0

বরগুনায় রেকর্ড তরমুজ উৎপাদনের আশা

আগাম তরমুজে ছেয়ে গেছে বরগুনার চরাঞ্চল। এরইমধ্যে এখানকার তরমুজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে।

বরগুনার বিষখালীর বুকে জেগে ওঠা একটি স্নিগ্ধ, অপরূপ ও উর্বর দ্বীপ মাঝের চর। নব্বই দশকের শুরু থেকে এখানে মানুষের বসবাস। প্রাকৃতিক দুর্যোগে বার বার সহায় সম্বল হারালেও দমে যাননি । দ্বীপের উর্বর জমিতে ফসল ফলিয়ে সচল রেখেছেন জীবনের চাকা।

সারাবছর এ চরে নানা জাতের ফসলের আবাদ হয়। তবে জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কায় বেশি আবাদ হয় তরমুজের। চরের ৮শ' একরের মধ্যে অর্ধেক জায়গায় রসালো এ ফল ফলানো হয়। এই মৌসুমেও আগাম জাতের তরমুজে ছেয়ে গেছে মাঠের পর মাঠ।

এরইমধ্যে এখানকার তরমুজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। মাঠ থেকে প্রতিটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের হাত ঘুরে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে দাম পড়ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা।

এক তরমুজ বিক্রেতা বলেন, 'মাঝের চর থেকে এ তরমুজগুলো আসে। আমরা প্রতি কেজিতে ৫ টাকা লাভ করি। মৌসুম আসলে দাম অনেক কমবে।'

তরমুজের মৌসুম ঘিরে এবার সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদেরও বেচাবিক্রি ভালো হয়েছে।

বরগুনায় এবার ১৩ হাজার ৮৩৮ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের নানাভাবে পরামর্শ, সহযোগিতা দিয়ে আসছে বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম। বলেন, 'এখানকার কৃষকরা সবসময়ই লাভবান হয়। কারণ প্রাকৃতিক দুযোর্গ আসার আগেই তারা এ ফসলটা ঘরে তুলতে পারে। আমরা তরমুজ চাষের জন্য কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি।'

বৈরি আবহাওয়া না থাকলে বরগুনায় রেকর্ড পরিমাণ তরমুজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কৃষকদের ন্যায্যমূল্য পেতে এ খাতটিকে সিন্ডিকেটমুক্ত ও প্রশাসনের কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থার আওতায় আনার দাবি সংশ্লিষ্টদের।

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর