ময়মনসিংহের গৌরীপুরের শিবপুর গ্রামের বয়োবৃদ্ধ কৃষক জসিম উদ্দিন। শীতে জবুথবু হয়ে ক্ষেতে রোপণের জন্য তুলছেন বোরো ধানের চারা। শীতে কষ্ট হলেও এর বিকল্প নেই, আর চারা রোপণের সময় চলে গেলেও ঠাণ্ডার কারণে মিলছে না শ্রমিক। শেষমেশ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাজে নেমেছেন।
জসিম উদ্দিন বলেন, 'ঠাণ্ডায় জালা নষ্ট হইয়া যাইতাসে। চারাগুলো ঠান্ডায় লাল হইয়া গেসে।'
কৃষকরা বলেন, 'শীতে খুব কষ্ট হইতাসে, নড়াচড়া করা যায় না। সারাদিন বইসা থাকা লাগে, রোদও উঠে না।'
ঠাণ্ডায় শাকসবজিরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। পাতা কুঁকড়ে শুকিয়ে যাচ্ছে শসা ও লাউ গাছের ডগা। ভালো ফলনও হচ্ছে না। আলু গাছের পাতা শুকিয়ে গেছে, অনেক ক্ষেতে গোড়া পচন রোগ দেখা দিয়েছে। এছাড়া শীতের প্রকোপে ফসলের ক্ষেতে নানা ধরনের পোকার আক্রমণ বেড়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, 'কুয়াশায় ধান-জমি নষ্ট হইতাসে। রোদ না উঠা পর্যন্ত কৃষি কাজের আর সুবিধা হইতো না। শীতে আলুতেও পচন ধরসে।'
শৈত্য প্রবাহ দীর্ঘ হলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তবে ক্ষতি থেকে বাঁচতে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।