দেশে এখন
0

বন্ধ ঘোষণার পরও হল ছাড়েনি শিক্ষার্থীরা, থমথমে আনন্দমোহন কলেজ

ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহ্যবাহী সরকারি আনন্দমোহন কলেজের হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাধারণ হলের বাইরের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য হল বন্ধ ঘোষণা করা হলেও এখনও হল ছেড়ে যায়নি শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এদিকে আজ (সোমবার, ১৩ জানুয়ারি) সকালে কলেজ অভ্যন্তরে সংবাদ সম্মেলন করেছে হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা। ফাইনাল পরীক্ষা চলায় এই মুহূর্তে হল ছাড়ার সুযোগ নেই বলে জানান তারা।

পল্লি কবি জসিম উদ্দিন হলে থাকা শিক্ষার্থী রামীম সাংবাদিকদের বলেন, 'গুটি কয়েক সাধারণ শিক্ষার্থী ভয় ও আতঙ্কে হল ত্যাগ করেছে। তবে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী হলে রয়েছে। আমরা কেউ হল ছাড়বো না।'

এদিকে গতকাল (রোববার, ১২ জানুয়ারি) রাতে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদলকে অহেতুক জড়ানোর প্রতিবাদে কলেজ ফটকের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেছে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

ছাত্রদল নেতা আশিক রাব্বি বলেন, 'গতকাল অধ্যক্ষের কক্ষে হলের সিট নবায়ন নিয়ে স্টিয়ারিং কমিটির মিটিং চলছিল। এ সময় হলের শিক্ষার্থীরা এসে কলেজে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সিনিয়র শিক্ষকদের ক্ষমা চাইতে বলে। বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রদলসহ কলেজের সকল ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে হলের শিক্ষার্থীরা হামলা করে। মূলত এ ঘটনার জের ধরেই শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে শিক্ষার্থী জুবায়ের, বিজয়, মেহেদী, জুবায়েরসহ বেশকয়েকজন আহত হয়।'

এসময় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে চার দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো- হলে মেয়াদোত্তীর্ণ কোনো শিক্ষার্থী থাকতে পারবে না, হলে অবস্থান করা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের চিহ্নিতদের বের করতে হবে, হলে ৫ আগস্টের পর যারা অবৈধভাবে উঠেছে তাদের নবায়ন করা যাবে না এবং নবায়ন ফি ছয় হাজার ৫০০ টাকা থেকে পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা করতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আশিকুর রহমান বলেন, 'হলের শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের কার্যালয়ে হামলা ও জুতা নিক্ষেপ করলে ক্যাম্পাসের সব ক্রিয়াশীল সংগঠনের নেতাকর্মীরা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করেন।'

হলে এখনও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অবস্থান করছে উল্লেখ করে তাদের হল থেকে বহিষ্কার ও হলের সিট নবায়নের ফি কমানোর দাবি জানান তিনি।

এদিকে কলেজে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বলেন, 'অনেকেই হল ত্যাগ করলেও কিছু শিক্ষার্থী এখনও হলে আছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।'

এসএস