একবার দক্ষিণ থেকে উত্তর, আরেকবার উত্তর থেকে দক্ষিণ। ইসরাইলের হামলা থেকে প্রাণ বাঁচাতে গাজাবাসীদের জীবন কাটছে ছোটাছুটিতে।
বুলেট বোমার পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের যুদ্ধ করতে হচ্ছে ক্ষুধার বিরুদ্ধেও। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ত্রাণবহরে অব্যাহত হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। প্যারাসুটের মাধ্যমে ফেলা ত্রাণ মাথায় পড়েও মৃত্যু হয়েছে অনেকের। ত্রাণ সংগ্রহের সময় সমুদ্রে ডুবে প্রাণহানির খবরও মিলেছে।
তবুও থেমে থাকছে না জীবন। সংকটের কারণে বেড়ে চলছে খাবারের দাম। ইসরাইল উপত্যকাটিতে প্রতিদিন ৫০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দিলেও ঢুকছে মাত্র শতাধিক। যা খাদ্যের চাহিদা মেটাতে পারছে গাজার গুটিকয়েক মানুষের।
জাতিসংঘের তথ্য বলছে, যুদ্ধ শুরুর পর উপত্যকাটিতে খাদ্যের দাম বেড়েছে ১ হাজার শতাংশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি কেজি চিনি কিনতে গুনতে হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ টাকা। যুদ্ধ শুরুর আগে যেখানে প্রতি কেজি ময়দার দাম ছিলো ৫০ টাকা, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকায়। প্রতি লিটার ভোজ্য তেলের দাম প্রায় ১৬০০ টাকা।
দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশ ছোঁয়ার কারণে অনেকেরই শেষ হয়ে আসছে সঞ্চিত অর্থ। তাই বাধ্য হয়ে ঘাস ও বন্য শাক কিনে খাচ্ছেন অনেকে।
গাজার এক বাসিন্দা বলেন, ক্ষুধার যন্ত্রণায় আমি অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। আমার ওজন ২০ কেজি কমে গেছে। আমাদের খাদ্য কিনে খাওয়ার সামর্থ্য নেই। তাই আমার পরিবার বন্য শাকের ওপর নির্ভর করছে। খাওয়ার জন্য আর কিছুই নেই।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, শীঘ্রই যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বে পুরো গাজা উপত্যকা।