ভ্রমণ
0

কুয়াকাটায় ৩ দিনে শতকোটি টাকার বাণিজ্যের আশা

পর্যটকের আগমনে সরব হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা। সাগরের নোনাজলে আনন্দ-উল্লাসে মেতেছেন সববয়সী মানুষ। দুই শতাধিক হোটেল-মোটেলের অধিকাংশ রুম বুকিং হয়ে গেছে। চাঙ্গা হয়ে উঠেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব ব্যবসা।

সমুদ্র স্নান, সৈকতের বালুতে ছুটাছুটি আর বাধভাঙা উচ্ছ্বাস সাগরতীরে। ২১ ফেব্রুয়ারিসহ সাপ্তাহিক ছুটিতে লাখো পর্যটক ভিড় করেছেন কুয়াটাকা সমুদ্রসৈকতে। সাগরের ঢেউ উপেক্ষা করে গোসলে নেমেছেন অনেকে। প্রকৃতির অনিন্দ্য সৌন্দর্য উপভোগ করে খুশি তারা।

পর্যটকরা বলেন, ‘আমরা খুব উপভোগ করছি। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখে খুব ভালো লাগছে।’

সমুদ্র স্নানের পাশাপাশি জেড-স্কি যোগে নীল জলরাশি ঘুরে দেখেন পর্যটকরা। এছাড়া নিজেদের সুন্দর মুহূর্ত বন্দি করেন ক্যামেরার ফ্রেমে। এতে করে আয় বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্যে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘পর্যটকের চাপ আছে। এখন পর্যটন মৌসুম হওয়ায় আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো হচ্ছে।’

কমিউনিটি ট্যুরিজমের আওতায় থাকা অর্ধশতাধিক বাসাবাড়ির রুমও ভাড়া দেয়া হয়েছে। ফলে স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।

হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল ফরাজি বলেন, ‘এই তিনদিন আমাদের রিসোর্টগুলো শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। চারমাস আমাদের মৌসুম থাকলেও মূলত এই ফেব্রুয়ারিতে পর্যটকদের সাড়া পেয়েছি।’

চলতি সপ্তাহে পর্যটকদের আগমনে শতকোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে মনে করেন সমুদ্রবাড়ি রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম মিরন। তিনি বলেন, ‘এখানে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। যার কারণে আমাদের লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারছি।’

কুয়াকাটার সমুদ্রসৈকত ছাড়াও তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুঁটকি পল্লী, ঝাউবাগান ও লাল কাঁকড়ার চরে ভ্রমণপিপাসুদের ঢল নেমেছে।