রাঙামাটির দর্শনীয় স্থানে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়

রাঙামাটিতে পর্যটকদের ভিড়
রাঙামাটিতে পর্যটকদের ভিড় | ছবি: এখন টিভি
0

রাঙামাটির বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। দুর্গাপূজার টানা ছুটিতে প্রকৃতিপ্রেমীরা ছুটে আসছেন রাঙামাটিতে। এরই মধ্যে রাঙামাটি ও কাপ্তাইয়ের হোটেল রিসোর্টে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত আগাম বুকিং হয়ে আছে। তবে খাগড়াছড়ির আন্দোলন সংঘাতে সাজেকে অনেকটাই পর্যটক শূন্য হয়ে আছে।

বিশেষ করে রাঙামাটি শহরে পর্যটন ঝুলন্ত সেতু, কাপ্তাই হ্রদে নীল জলরাশিতে নৌভ্রমণ, পলওয়েল পার্ক, আরণ্যক, সুবলং, আসামবস্তি কাপ্তাই সড়ক ও কাপ্তাইয়ে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। রাঙামাটির পাহাড়ি আঁকাবাঁকা উঁচুনিচু সড়ক, দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ অরণ্য আর দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কাপ্তাই লেক পর্যটকদের কাছে সারা বছরই আকর্ষণীয়।

তবে রাঙামাটি পর্যটনের আইকন ৩৩৫ ফুট দৈর্ঘ্যের ঝুলন্ত সেতুকে ঘিরেই দর্শনার্থীদের মূল আকর্ষণ। আজও সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে পর্যটকদের বিপুল উপস্থিতি। অনেকেই দল বেধে ট্যুরিস্ট বোট ভাড়া করে নৌভ্রমণ করছেন। তবে গেল দুই মাস ধরে ঝুলন্ত সেতু পানিতে ডুবে থাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা পর্যটকদের প্রশান্তিতে ছেদ পড়েছে। অবশ্য সেতু এলাকায় কেউ বা ছায়ায় বসে খোশগল্পে মেতে উঠেছেন পরিবার পরিজনের সঙ্গে।

সেতু এলাকায় আজ (বুধবার, ১ অক্টোবর) বিকেলে নোয়াখালী থেকে আসা তরুণ পর্যটক সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘অফিস ছুটি। সেজন্য রাঙামাটি এসেছি বন্ধুদের সঙ্গে। খুবই ভালো লাগছে। সেতুতে উঠতে পারলে আরও ভালো লাগতো।’

ঢাকা থেকে সপরিবারে আসা মহিউদ্দিন বলেন, ‘অনেক দিন ধরে পরিবার নিয়ে আসবো ভাবছিলাম। পূজার ছুটি চলছে। অফিস, স্কুলও ছুটি। সেজন্য পছন্দের জায়গা রাঙামাটিতেই আসলাম। অনেক মনোরম পরিবেশ। খুবই ভালো লাগছে।’

রাঙামাটি শহরে ৫৬টি আবাসিক হোটেল, ১৭টি রিসোর্ট ও সাজেকে ৯৮টি হোটেল রিসোর্ট এবং কাপ্তাইয়ে বেশ কয়েকটি হোটেল রিসোর্ট রয়েছে। তবে সবমিলিয়ে ১৫ হাজার পর্যটকের রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা রয়েছে এ তিন পর্যটনকেন্দ্রে। এ দুর্গাপূজা টানা ছুটিতে সবমিলিয়ে গড়ে দৈনিক দেড় কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে আশা খাত সংশ্লিষ্টদের।

আরও পড়ুন:

তবে খাগড়াছড়ির আন্দোলন সংঘাতে অবরোধ কর্মসূচিতে সাজেকে অনেকটাই পর্যটক শূন্য হয়ে আছে। সেখানে গেল ২৭ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর অন্তত তিন হাজার পর্যটক আগাম বুকিং বাতিল করেন। এরপর নানা শঙ্কায় নতুন করে পর্যটকের উপস্থিতি আর এগোয়নি।

বছরে কয়েক লাখ দেশি-বিদেশি পর্যটক ভ্রমণে আসেন। সাধারণত ছুটির দিনগুলোতে গড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার পর্যটকের উপস্থিতি থাকে রাঙামাটির তিন পর্যটনকেন্দ্রে। আবার বিশেষ দিনগুলোতে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০ থেকে ৭০ হাজারে।

রাঙামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এ পূজার ছুটিতে পর্যটকদের ভালো সাড়া পাচ্ছি। এরইমধ্যে ৮০ থেকে শতভাগ পর্যন্ত আগাম বুকিং হয়েছে বেসরকারি হোটেল রিসোর্টগুলোতে। শীত মৌসুম শুরুর আগে এটি ভালো ব্যবসা হবে আশা করছি।’

রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, ‘এবারের পূজার টানা ছুটিতে পর্যটকরাও ভ্রমণে আসছেন। আমাদের শতভাগ কক্ষ আগাম বুকিং হয়েছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী আমাদের রেকর্ড পরিমাণ আয় হবে বলে আশা করছি।’

এসএস