যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শেষ হলো ৩৩তম আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা। জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে চারদিনের এই মেলায় ৪১টি প্রকাশনা সংস্থা বিক্রি করেছে দুই লাখ ডলারের বাংলা বই। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা বইমেলা উদ্বোধনের পর চারদিনে বই বিক্রির সঙ্গে চলেছে কবিতা পাঠ, সেমিনার, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ বৈচিত্র্যময় সব আয়োজন।

ভাঙলো প্রাণের অমর একুশে গ্রন্থমেলা। এবার লিপ ইয়ার ও দুদিন সময় বাড়ানোয় বইমেলা চলে ৩১ দিন। মেলায় বই বিক্রি হয়েছে প্রায় ৬০ কোটি টাকার। ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে এবারের মেলা আগেরবারের চেয়ে সফল বলে দাবি আয়োজকদের। এবার প্রকাশিত হয়েছে সর্বমোট ৩ হাজার ৭৫১টি বই।

দেখতে দেখতে মাসব্যাপী চলা অমর একুশে বইমেলা এসে শেষ সপ্তাহে পৌঁছেছে। ছুটির দিনে শিশুপ্রহরে সিসিমপুরের আয়োজন দেখতে বাবা-মায়ের সাথে মেলায় আসে শিশুরা।

আগামী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত লেখক ইসরাত জাহান নিরুর প্রথম গল্পের বই '৩০ পয়সার ৩ লক্ষ স্মৃতি'র মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।

প্রাণের মেলা বইমেলা। যেখানে সাহিত্য, কবিতা, ছোটগল্প উপন্যাস বইয়ের ঠাঁই হয়েছে এক জায়গায়। অথচ ক্রীড়াবিষয়ক বইয়ের দেখা নেই একেবারেই। প্রকাশকদের দাবি বাণিজ্যিকভাবে ক্রীড়াঙ্গনের বই খুব একটা সফল নয়। তাই ক্রীড়া বিষয়ক পাণ্ডুলিপিতে লগ্নি থেকে বিরত থাকেন তারা।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সকাল বেলা বইমেলা প্রাঙ্গণ শিশু-কিশোরদের দখলে। সিসিমপুরের আয়োজনে শিশু চত্বরে হালুম-ইকরি-টুকটুকিদের সাথে শিশু প্রহরে মেতে উঠে শিশুরা। সেই সঙ্গে পছন্দের বই কিনতে অভিভাবকদের কাছে বায়নাও ধরে তারা।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শিশুদের কলতানে শিশুচত্বর মুখরিত ছিলো। এই আনন্দমেলায় বাবা-মা ও অভিভাবকরা তাদের সঙ্গী হয়েছেন। সিসিমপুরের গাড়িতে চড়েই আনন্দ উল্লাসে সবাই মেতে ওঠে। ছুটির দিন হওয়ায় উপচেপড়া ভিড় ছিলো।

বইমেলায় এবারও অর্থ-বাণিজ্যের বই কম। ভালমানের পাণ্ডুলিপি না পাওয়ার কথা বলছেন প্রকাশকরা। অনেকেই মনে করেন, এখন সময় বিবেচনায় লেখালেখি কম লাভজনক। আবার যারা লিখছেন তাদের অনেকে বেছে নিচ্ছেন বিদেশি ভাষা।

শুরু হয়েছে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা। আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমিতে মাসব্যাপী এই বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, 'পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর ভাষা হলো বাংলা। তাই বাঙালি সংস্কৃতি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে।'

অমর একুশে বই মেলা ২০২৪-এর অগ্নিনিরাপত্তা প্রদানে প্রস্তুত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। মেলা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন প্রকার গাড়ি, পাম্প ও সরঞ্জাম নিয়ে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তায় প্রস্তুত থাকবেন ৭৭ জন জনবল।