একুশে গ্রন্থমেলায় হাজার বইয়ের ভিড়ে খেলাধুলা সংশ্লিষ্ট বই হাতেগোনা। এবারের মেলায় স্টলের সংখ্যা ১ হাজার ৮৪টি। অথচ ত্রীড়াঙ্গনের বই পাওয়া যায় মাত্র ৬ থেকে ৭টি স্টলে।
১৫ তারিখ পর্যন্ত মেলায় নতুন বই এসেছে ১ হাজার ৪৮৭ টি। কিন্তু খেলাধুলা নিয়ে নতুন বইয়ের চিত্রটা একেবারেই বিপরীত।
বইমেলার তথ্যকেন্দ্র আর স্টল ঘুরে নতুন বইয়ের দেখা মিললো মাত্র দুই-তিনটি। আর পুরোনো-নতুন মিলিয়ে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যাটা সর্বসাকুল্যে ডজনখানেকের বেশি হবে না।
একপাশে মাশরাফি-সাকিবদের বীরত্বগাঁথা নিয়ে লেখা বই। পাশেই বিশ্ব ক্রিকেটের কিংবদন্তীদের ইতিহাস। কিন্তু ক্রেতাদের ভ্রূক্ষেপ নেই সেদিকে। কেন এই অনীহা? প্রকাশকরাই বা কেন আগ্রহ দেখান না তার কারণ জানতে চাই প্রকাশকদের কাছেই।
স্টুডেন্ট ওয়েজের প্রকাশক মাশফিকুল্লাহ তন্ময় বলেন, ‘খেলার বই বাজারে কম। এখানে পাঠক হিসেবে ভ্যারাইটি পাচ্ছে না সে দেখে শুনে বই নিবে। বেশিরভাগ লেখকরা স্পোর্টস থেকে দুরে। আগ্রহের কম হচ্ছে বইয়ের থেকে খেলা দেখতে পছন্দ করে। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে বইও কম।’
অবশ্য গল্পভেদে কখনো কখনো দৃশ্যটা ভিন্ন। যার প্রমাণ কিংবদন্তী গোলকিপার আমিনুল হকের বায়োগ্রাফি আর 'নিউরাল জার্নি অব ক্রিকেট'।
রয়েল পাবলিকেশন্সের প্রকাশক মনিরুল ইসলাম রয়েল বলেন, ‘নিউরাল জার্নি অব ক্রিকেট বইয়ের খুব সাড়া পাচ্ছি। এইটাতে ক্রিকেটের অনেক কিছু বলা আছে।’
খেলাধুলার বইয়ের কাটতি নিয়ে সাফল্যের গল্প মেলে কালেভদ্রে। দু'একটি ব্যতিক্রম আগামীতে নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়ে প্রকাশনা জগৎকে সমৃদ্ধ করবে এমনটি প্রত্যাশা ক্রীড়াপ্রেমীদের।