গত দু'বছর থেকেই মূল্যস্ফীতির চোখ রাঙানোতে জর্জরিত মানুষের জীবন আর বিনিয়োগ খাত। সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতি আর সুদের হার বৃদ্ধিতেও কাটছে না সংকট।
এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস, ২০২৪ অর্থ বছরে জিডিপি ৫.৮ থেকে ৫.২ শতাংশে নেমে আসবে। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি ৯ থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ৯.৭ শতাংশে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, বাড়বে জ্বালানি খরচ ও কমবে টাকার মান। একই সাথে বিনিয়োগও কমবে। তবে এ সব কিছুর পরও জলবায়ু অভিঘাতে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের জন্য বড় চিন্তার বিষয় বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধির তথ্য এলেও তা কর্মসংস্থান তৈরিতে তেমন ভূমিকা রাখতে পারে নি। প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক তরুণ চাকরির বাজারে প্রবেশ করতে পারছে না। বিশেষ করে শিক্ষিত যুবক ও নারীদের অনেকেই তাদের কাঙ্ক্ষিত চাকরি খুঁজে পান না। সেই সঙ্গে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশের শিল্প ও সেবা খাতের কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
এইসময়ে ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য টিকে থাকা কঠিন হবে ও কর্মসংস্থানে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। বলছে, অতিরিক্ত ব্যয় ও বাণিজ্যের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় সময় ক্ষেপণের কারণে বিনিয়োগ হারাচ্ছে বাংলাদেশ।
আগামী দু'বছর সার্বিকভাবে চাপ থাকায় উৎপাদন খাতে কর্মসংস্থান ও মানুষের আয়ে চাপ বাড়বে। ফলে বাড়াতে হবে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সামাজিক নিরাপত্তা।
বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক জানায়, ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধি কম থাকলেও মূল্যস্ফীতি কমবে। চলতি হিসেবে আসবে স্থিতিশীলতা এবং কাটবে তারল্য সংকটও।
তবে স্থিতিশীলতার জন্য আনুষ্ঠানিক খাতে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও বাজারভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার চালুর পরামর্শ সংস্থাটির।