
কোনোভাবেই এগোতে পারছে না বাংলাদেশের চা শিল্প
কোনোভাবেই চা শিল্পে আর এগোতে পারছে না বাংলাদেশ। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ চা বাগানের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে পুরো শিল্প এ মুহূর্তে সংকটময় এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে এ সংকট থেকে বের হয়ে চা শিল্পের ভিত মজবুত করতে রপ্তানি আয় বৃদ্ধিসহ নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ চা বোর্ড।

অনাবৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হবিগঞ্জের চা বাগান, উৎপাদন কমেছে ৮০ শতাংশ
অনাবৃষ্টি ও দাবদাহে বিপর্যস্ত হবিগঞ্জের চা বাগানগুলো। নতুন কুড়ি না আসায় গত বছরের তুলনায় উৎপাদন কমেছে প্রায় ৮০ শতাংশ। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির শঙ্কা শিল্প সংশ্লিষ্টদের। শঙ্কা আছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খরার প্রভাব আরও দীর্ঘ হতে পারে। তাই চা শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ সংশ্লিষ্টদের।

বিভিন্ন কারণে চায়ের উৎপাদন কমেছে প্রায় ১০ ভাগ
২০২৩ সালে দেশে রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদন হলেও, গেলো বছর এনটিসি'র বাগানে শ্রমিক অসন্তোষ, তীব্র খরা আর অতিবৃষ্টির কারণে চা শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। উৎপাদন কমেছে ১০ ভাগ। এবছরও অনিশ্চয়তা নিয়েই শুরু হয়েছে চা উৎপাদন। দেশে অবৈধভাবে চায়ের প্রবেশ ঠেকাতে পারলে এবং চায়ের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে পারলে এ শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে প্রায় ২০০ শত বছরের পুরোনো চা বাগান
ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে প্রায় ২০০ শত বছরের পুরোনো চা বাগান। নতুন করে গাছ না হওয়া এবং চা বাগানের জায়গায় অন্য আবাদ করার ফলে দিন দিন এ শিল্পটি সংকুচিত হয়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাচ্ছে। এছাড়া সেকশন সমূহে চায়ের পরিবর্তে রাবার চাষাবাদ, টিলা কাটা, ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ফলে কমছে চায়ের ভূমিও। প্রায় প্রতিটি বাগানে কাঁচি দিয়ে পাতা চয়ন ও অপরিষ্কার ফ্যাক্টরির কারণে হচ্ছে না গুণগত মান সম্পন্ন চা।

চা উৎপাদনে সব সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশে চা উৎপাদনে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে সরকার। চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বাগান মালিকদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। আজ (মঙ্গলবার, ৪ জুন) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় চা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।