প্রায় ৪ মাসের মাথায় খনন কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় পর আজ (শুক্রবার, ২৪ মে) রাত ১০ টায় ৮ নম্বর কূপ পরিদর্শনে আসেন জ্বালানী সচিব মো. নুরুল আলম। প্রায় ৩০ মিনিট পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান এতে গ্যাসের যে চাপ মিলেছে তাতে এখান দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব।
জ্বালানী সচিব মো. নুরুল আলম বলেন, '২০ থেকে ২২ মিলিয়ন ঘুনফুট গ্যাস আমরা ৮ থেকে ১০ বছর উত্তোলন করতে পারবো। আমাদের দেশীয় মূল্যে ১ হাজার ৬শ’ কোটি টাকার গ্যাস রয়েছে।'
কূপের মোট মজুদকৃত গ্যাসের পরিমান ৫০ বিসিএফ। এই কূপ থেকে প্রতিদিন ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রীডে যুক্ত করা সম্ভব জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাছাড়া গ্যাসের সাথে উপজাত হিসেবে কনডেনসেটও মিলবে তবে প্রতি ঘনফুট গ্যাসের সাথে কি পরিমান কনডেনসেট মিলবে পরীক্ষা নিরীক্ষার পরই তা জানা যাবে।
কূপ খনন কাজে নিয়োজিত দেশীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স) জানায় ৩৪শ' ফুটের বেশিও খনন করার পর গ্যাসের সন্ধান মেলে। একের পর এক কূপ খননে সামনে আরও আশাবাদী তারা।
বাপেক্সের এমডি মো. শোয়েব বলেন, 'আমরা এখানে ৩৪শ' ৩৮ থেকে ৩৪শ' ৪৬ পর্যন্ত খনন করেছি।'
এর আগে শুক্রবার সকালে সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাসফিল্ডে এই কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। কর্মকর্তাদের মতে এই কূপ থেকে প্রতিদিন ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হবে।
সারাদেশে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে নতুন যে সকল প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। প্রাকৃতিক সম্পদের আঁধার হিসেবে পরিচিত সিলেটে গত বছর থেকেই কূপ অনুসন্ধান ও খননের কাজ চলমান রেখেছে সিলেট গ্যাসফিল্ড কর্তৃপক্ষ। তার মধ্যে একটি এই কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপ। কৈলাশটিলা-৮ কূপের খনন কাজ শুরু হয় চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি।
সিলেট গ্যাসফিল্ড কোম্পানির এই কূপটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে খনন করছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স।
কূপের মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে বিদ্যমান পাইপলাইন ও আড়াই কিলোমিটার দূরত্বে ব্যবহারযোগ্য প্রসেস প্লান্ট রয়েছে। তাই দ্রুত এই গ্যাস জাতীয় গ্রীডে যুক্ত করা সম্ভব বলে জানান কর্মকর্তারা।
প্রায় দেড়শ' কোটি টাকা খরচে ৮ নম্বর কূপ উন্নয়নকাজ গত জানুয়ারীতে উদ্বোধন করেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রী নসরুল হামিদ।