অর্থনীতি
0

কৈলাশটিলা-৮ নম্বর কূপে মজুত ১.৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

ইজামুল এহসান

দেশের ৪৬টি কূপ অনুসন্ধান, খনন ও পুনঃখননের কাজ এগিয়ে নেয়ার কথা জানিয়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বললেন, আগামী ২ বছরের মধ্যেই গ্যাস উৎপাদনের সব মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। জ্বালানি সংকট নিরসনে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে চারমাসের মধ্যে কৈলাশটিলার ৮ নম্বর কূপ খনন শেষ করে প্রতিদিন গ্রিডে যুক্ত হবে ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

প্রাকৃতিক সম্পদের সমৃদ্ধ আধার হিসেবে পরিচিত সিলেটে গত বছর থেকেই কূপ অনুসন্ধান ও খননের কাজ চলমান রেখেছে সিলেট গ্যাসফিল্ড কর্তৃপক্ষ। তারই অংশ হিসেবে ২০২৩ সালের প্রথম দিকে কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপে খনন কাজ শুরু হয়।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে কূপের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন যান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। পরিদর্শন শেষে তিনি জানান, খনন কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হলে ৮ নম্বর কূপ থেকে দৈনিক ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

প্রায় দেড়শ' কোটি টাকা খরচে ৮ নম্বর কূপ উন্নয়নকাজ আগামী ৪ মাসের মধ্যেই শেষ হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'কূপটিতে প্রায় ১.৬ ট্রিলিয়ন গ্যাস মজুত রয়েছে। এই মাসের মধ্যে আরও ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমরা পাইপে নিতে পারবো। দেশিয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।'

মন্ত্রী আরও বলেন, 'বাপেক্সের খনন রিগ সবগুলোকে এখন কাজে লাগাচ্ছি। মূলত সর্বশক্তি দিয়ে বাপেক্স কাজ করছে। গত কয়েক মাস যাবত প্রত্যেকটা রিগ কিন্তু এবারে প্লানিং করে এগুচ্ছে। যেহেতু নিজস্ব কেনা রিগ, আমাদের লোকজন দিয়ে করছে। স্বাভাবিক ভাবে আমরা এইগুলো সাশ্রয়ীভাবে ব্যবহার করতে পারব।'

বিকেলে সিলেট ১০ নম্বর কূপটি পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। বলেন, সিলেটের এই কূপে যে তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে তা দুইমাস পর বিস্তারিত জানা যাবে। তবে ধারণা- এখানে যে গ্যাসের চাপ আছে তাতে বাংলাদেশের তেল উৎপাদনের অন্যতম বাণিজ্যিক ক্ষেত্র হতে যাচ্ছে এটি।

এর আগে মন্ত্রী সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের গ্যাস প্রসেস প্লান্টসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের উৎপাদনে থাকা কূপগুলো থেকে এখন প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ।২০২৪ সালের মধ্যে আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষ করে তারা সেই উৎপাদনকে নিয়ে যেতে চায় ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে। আর সরকারের বেধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে সকল কাজ শেষ করতে পারলে শুধুমাত্র এই কোম্পানি থেকে প্রতিদিন জাতীয় গ্রিডে ২৫০ মিলিয়ন গ্যাস যুক্ত করা সম্ভব বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

ইএ