গভর্নর-ড.-আহসান-এইচ-মনসুর
নীতি সুদহার বাড়লো দশমিক ৫০ শতাংশ, কাল থেকে কার্যকর
আকাশছোঁয়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে পলিসি রেট দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ৯.৫০ শতাংশ করা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়।
এস আলমের কোনো সম্পদ না কেনার পরামর্শ গভর্নরের
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দেশের স্বার্থে অন্য কেউ যেন এস আলমের সম্পদে হাত না দেয় অথবা সম্পদ না কিনে। এই সম্পদগুলো আমাদের ডিপোজিটদের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য ব্যবহার করতে চাই। আর সেজন্য এস আলমের কোন সম্পদ না কেনার পরামর্শ দিয়েছেন গভর্নর। এছাড়া আমানতকারীদের একসাথে টাকা তুলতে না গিয়ে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর। সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় তিনি জানান, দুর্বল ব্যাংকগুলোর অবস্থা ফেরাতে আরো ৬ থেকে ৭ মাস সময়ের প্রয়োজন।
প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে নগদের পুরো মালিকানা পেলো ডাক বিভাগ: গভর্নর
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার মধ্যদিয়ে ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস 'নগদ' এর পুরো মালিকানা বুঝে পেলো সরকারের ডাক বিভাগ। একইসঙ্গে তিনি জানান, আগের পরিচালকদের কোনো মালিকানা বা শেয়ার থাকছে না এই নিয়োগের পর।
কোনো অযৌক্তিক দাবি মানা হবে না, যদি এমন কিছু করতে হয় পদত্যাগ করবো: গভর্নর
পুরোনো পর্ষদ ভেঙে দিয়ে এস আলম গ্রুপের নামে থাকা ইসলামী ব্যাংকের নামে বেনামে নেয়া সব শেয়ার নিয়ে নেবে সরকার। দু'একদিনের মধ্যে স্বতন্ত্র পর্ষদ দায়িত্ব নেবেন বলেও জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তবে কোন ব্যাংক সরকারি করার কোন পরিকল্পনা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসব শেয়ার কিনে নিয়ে স্বাভাবিক নিয়মে বোর্ড গঠন ও পরিচালনা পর্ষদ করা হবে। কোনো অযৌক্তিক দাবি মানা হবে না, যদি এমন কিছু করতে হয় পদত্যাগ করবো।’
গভর্নর সাফ জানালেন, এস আলমের ব্যাংকগুলোকে টাকা ছাপিয়ে সহযোগিতা করা হবে না
ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে বৈঠক শেষে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এস আলমের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যাংকগুলোকে টাকা ছাপিয়ে সহযোগিতা করা হবে না। আর যারা অর্থ নিয়ে ফেরত দেয়নি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলে ব্যবসায়ীরা সহায়তা করবে বলে আশ্বাস দেন বণিক সমিতির নেতারা। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নিত্যপণ্য আমদানি সহজ করা, ব্যাংক সংস্কার ও ঋণের কিস্তি পরিশোধে ছয় মাস সময় দেয়ারও প্রস্তাব করেন ব্যবসায়ীরা।