ব্যাংকপাড়া
অর্থনীতি
0

এস আলমের কোনো সম্পদ না কেনার পরামর্শ গভর্নরের

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দেশের স্বার্থে অন্য কেউ যেন এস আলমের সম্পদে হাত না দেয় অথবা সম্পদ না কিনে। এই সম্পদগুলো আমাদের ডিপোজিটদের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য ব্যবহার করতে চাই। আর সেজন্য এস আলমের কোন সম্পদ না কেনার পরামর্শ দিয়েছেন গভর্নর। এছাড়া আমানতকারীদের একসাথে টাকা তুলতে না গিয়ে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর। সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় তিনি জানান, দুর্বল ব্যাংকগুলোর অবস্থা ফেরাতে আরো ৬ থেকে ৭ মাস সময়ের প্রয়োজন।

বিভিন্ন ব্যাংক থেকে এ পর্যন্ত এস আলমের লুটপাটের অঙ্ক প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা। সেখানে শেয়ার ও সম্পদ থেকে ফেরানো সম্ভব ৫০ হাজার কোটি টাকা। বেনামে থাকা সম্পদ এখন বিক্রি করছে এস আলম। এমন তথ্যে আইনি জটিলতা এড়াতে এস আলমের কোন সম্পদ না কেনার পরামর্শ দেন গভর্নর। জানান এ পর্যন্ত ৬ টি ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে ব্যাংক খাতের অন্য মাফিয়ারাও।

যেসব ব্যাংকে স্বতন্ত্র পর্ষদ দেয়া হয়েছে তারা কঠোর নজরদারিতে থাকবে জানিয়ে কোন অবৈধ ক্ষমতার অপব্যবহার হলে পরিবর্তন করার বিষয়েও পিছপা হবে না বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসাথে দেশি ও বিদেশি সহযোগিতায় ব্যাংকগুলোকে পুনর্গঠন করা হবে। সংস্কারের আওতায় থাকবে বাংলাদেশ ব্যাংকও।

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকে যেন তার নিজ নিজ জায়গায় ভালোভাবে কাজ করে। আমরা তাদেরকে সব ধরনের সহায়তা করবো। যদি ঠিকঠাক না করে কাজ তাহলে আমরা তাদেরকে পরিবর্তন করে দিবো।’

তবে এক্ষুনি আমানতকারীদের একসাথে সব টাকা তুলে না নিতে অনুরোধ জানিয়ে ৬ থেকে ৭ মাস ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান গভর্নর।

তিনি বলেন, ‘যদি সব গ্রাহক এক সঙ্গে টাকা তুলতে যায় তাহলে ব্যাংক দিতে পারবে না। এইটা কোনো দেশই পারবে না। অনুরোধ করবো আপনারা একটু ধৈর্য ধরুন। আমরা চেষ্টা করবো ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে সবল করবো। আমরা আজকে ৫ লাখ টাকা ছাপিয়ে কালকে দিবো না। ’

এদিকে নীতি সুদের হার বাড়ানো ইতিবাচক ফল দিলেও বন্যার কারণে উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ ব্যাহত হবে। যা মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণে কিছুটা চিন্তার কারণ। তবে শিল্পের চাকা চলমানে এলএনজি ও পরের মৌসুমের কৃষির জন্য সার ও খাদ্যপণ্য আমদানি রিজার্ভ ব্যবহার না করে করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

এই মুহূর্তে চাল ছাড়া আমদানিনির্ভর বাকি সব কৃষিপণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে। ফলে আগামী ৬-৭ মাস মুদ্রা বিনিময় হার একই ডিজিটে স্থিতিশীল রাখা গেলে আমদানি নির্ভর মূল্যস্ফীতি ঠেকানো সম্ভব।

tech

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর