২০১৭ সালে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক ও পরে একে একে ছয়টি প্রতিষ্ঠান দখল করে এস আলম গ্রুপ। তাদের বিরুদ্ধে ২ লাখ কোটি টাকার বেশি পাচারেরও অভিযোগ আছে। এতে তারল্য ঘাটতিতে পরে ব্যাংকগুলো। সেই সাথে নজরুল ইসলাম মজুমদার ও সালমান এফ রহমানের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরো কয়েকটি ব্যাংক, যেগুলোকে অন্যায্য সুবিধা দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
এমন পরিস্থিতিতে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ব্যাংকগুলোকে দখল মুক্ত করে ঋণ সুবিধা দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করে নতুন গভর্নর। এতে আস্থা ফিরতে শুরু করে এ খাতে।
তবে এখনও পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বেশ কয়েকটি দুর্বল ব্যাংক। এ নিয়ে উদ্বেগ কাটেনি গ্রাহকের।
মঙ্গলবার এক সেমিনারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর জানালেন, আলোচিত ব্যাংকগুলোকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে, সেজন্য কিছুটা সময় লাগবে বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘প্রতিটি উপজেলায় কতগুলো ব্রাঞ্চ আছে, তারা কীভাবে লেনদেন করছে, ডিপোজিট দিচ্ছে সেটা নেট আউটফ্লো, নেট ইনফ্লো। সেটা আমরা বের করে ফেলতে পারব।’
এসময় সরকারের প্রায় ২২টি মন্ত্রণালয়ের আলাদাভাবে ক্ষুদ্র ঋণ পরিচালনার অনুমতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর। জানান ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করে সমবায় সমিতিগুলো প্রতারণা করছে।
তিনি বলেন, ‘যখন বন্যা হয় বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় তখন কিস্তি আদায়ের বিষয়টি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে। রাজনৈতিক, সামাজিক ও ন্যায়সঙ্গত কারণেই কিস্তি সাময়িকভাবে বন্ধ করে রাখা হয়। এটা হয়ত পরিবর্তন করা সম্ভব হবে না। কেননা ঐ মুহূর্তে কিস্তি দেয়ার কথা বলাটা মানবিক।’
গভর্নর জানান, একটি আইন দিয়ে শুধু গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করা ঐতিহাসিক দুর্ঘটনা। তার মতে, বিগত সময়ের মতো কোনকিছু আর চালিয়ে যাওয়া যায় না।