
বৃষ্টি না হওয়ায় বাড়ছে সেচ খরচ, শঙ্কায় কৃষক
মৌসুমেও আশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন যশোরের আমন চাষিরা। পানির স্বল্পতায় আমনের চারা রোপণ করতে পারছেন না তারা। নির্ভর করতে হচ্ছে সেচের ওপর। এতে বাড়তি গুনতে হতে পারে প্রায় ২০৮ কোটি টাকা।

বরিশালে জলাবদ্ধতায় ব্যাহত আমনের বীজতলা উৎপাদন
বরিশালের কৃষকদের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে আছে। আমনের বীজতলা তৈরির কাজ চলছে সর্বত্র। তবে কোনো কোনো এলাকায় বৃষ্টির পানি আটকে থাকায় তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এসব নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে কৃষক। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, আমনের উৎপাদন ঠিক রাখতে তৎপর রয়েছেন তারা। আর চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভালো হতে হবে আমনের ফলন।

মণপ্রতি ৮ কেজি বেশি; ব্যাপারী ঠকাচ্ছেন কৃষকদের
রাজশাহীর বানেশ্বর বাজারে আম বেচাকেনায় প্রতিনিয়ত ঠকছেন কৃষক। আম বেচাকেনায় মানা হচ্ছে না ওজন ও পরিমাপের সঠিক মানদণ্ড। ঢলন পদ্ধতির চল থাকায় কৃষকের শ্রমে-ঘামে উৎপাদিত আম এক প্রকার লুটে নিচ্ছে ব্যাপারি ও আড়তদাররা। এমন বেচাকেনাকে রীতিমতো প্রতারণা বলছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।

বাঁশের কৃষি পণ্য রক্ষায় সরকারের সহায়তা চান সংশ্লিষ্টরা
বর্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ততা বাড়ে কৃষক পরিবারে। একইসঙ্গে বাড়ে বাঁশের তৈরি বিভিন্ন কৃষি পণ্যের চাহিদা। এতে সাপ্তাহিক হাটে বেড়ে যায় কৃষি কাজে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্রের বেচা-বিক্রি। তবে এসব পণ্য তৈরির কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি ও কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় অনেকেই ছাড়ছেন এই শিল্প। তাই এই শিল্প রক্ষায় সরকারের সহায়তার প্রয়োজন সংশ্লিষ্টদের।

দফায় দফায় বন্যা পরিস্থিতিতে লাগামহীন কৃষিপণ্য
সিলেটে বন্যার পর কৃষিপণ্য যেন লাগামহীন ঘোড়া। অতিবৃষ্টি ও দফায় দফায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় একদিকে যেমন ফসলের ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে অন্যদিকে তৈরি হচ্ছে বিক্রেতা থেকে ভোক্তা পর্যায়ে অসন্তুষ্টি। প্রত্যেক মৌসুমে সরবরাহ সংকট, পরিবহন খরচ নানা অজুহাত দেখালেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ পুরো বাজার ব্যবস্থা করে দিয়েছে স্থবির।

হবিগঞ্জে বন্যায় আউশ ধানের ব্যাপক ক্ষতি
অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল আর বন্যায় হবিগঞ্জে আউশ ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চাষাবাদে দেখা দিয়েছে বড় ধরনের বিপর্যয়। এর ফলে চলতি বছর জেলায় প্রায় ৭৭ হাজার টন ধানের ঘাটতি দেখা দেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যাতে রয়েছে আউশের ওপর নির্ভরশীল কৃষক পরিবারে খাদ্যঘাটতি দেখা দেয়ার শঙ্কা।

প্রচণ্ড খরায় ব্যাহত হচ্ছে ফসল উৎপাদন, চিন্তিত কৃষক
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বদলে যাওয়া প্রকৃতিতে ফসল উৎপাদন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন নাটোরের কৃষক। একদিকে যেমন বাড়ছে উৎপাদন খরচ, অন্যদিকে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ফসল। এতে খরচের সাথে উৎপাদনের ফারাক তৈরি হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন প্রান্তিক কৃষক। এ অবস্থায় কৃষিতে গবেষণা বৃদ্ধির পাশাপাশি বদলে যাওয়া পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে পারে এমন ফসলের জাত উদ্ভাবনের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বগুড়া-গাইবান্ধার ৮০ কৃষকের গ্লোবাল গ্যাপ সার্টিফিকেট অর্জন
আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে সবজি চাষের স্বীকৃতি স্বরুপ গ্লোবাল গ্যাপ সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন বগুড়া ও গাইবান্ধার ৮০ জন কৃষক।

হিলিতে বিনামূল্যে আমন ধানের বীজ ও সার পেলো কৃষক
দিনাজপুরের হিলিতে প্রান্তিক কৃষকদেরকে বিনামূল্যে আমন ধানের বীজ, পেঁয়াজ বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গায় ছড়িয়ে পড়েছে বিষাক্ত উদ্ভিদ পার্থেনিয়াম
সবুজের মাঝেই লুকিয়ে রয়েছে মানবদেহ ফসল ও গবাদিপশুর জন্য বিষাক্ত উপাদান। চুয়াডাঙ্গায় রাস্তার দুইধারে, ফসলের মাঠের পাশে ছড়িয়ে পড়েছে বিষাক্ত উদ্ভিদ পার্থেনিয়াম। অথচ এর নাম বা ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানে না সাধারণ মানুষ। ফলে রাস্তার দুইধারে নির্বিঘ্নে বেড়ে উঠছে মৃত্যুদূত পার্থেনিয়াম। যদিও কৃষি বিভাগের দাবি, এই আগাছা নিধন ও জনসচেতনতায় কাজ করছেন তারা।

ধানের দর নিয়ে জটিলতায় কৃষক
সরকার ধানের দাম বেঁধে দিলেও সুফল মিলছে না কৃষকের। আর্দ্রতার মাপকাঠি আর নির্দিষ্ট সংখ্যক কৃষক ধান বিক্রির সুযোগ পাওয়ায় অধিকাংশ কৃষকই হাটে কম দামে ধান বিক্রিতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকার নির্ধারিত ১ হাজার ২৮০ টাকার জায়গায় ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকায় প্রতিমণ ধান বিক্রি করছেন তারা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের দাবি, ধানের ক্রয়নীতি পরিবর্তনের।

রিমালের প্রভাবে বৃষ্টিপাত, নওগাঁয় ফসলের মাঠে স্বস্তি
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে টানা বৃষ্টি যেন আশীর্বাদ হয়েছে নওগাঁর ফসলের মাঠের জন্য। দীর্ঘদিন ধরে চলা দাবদাহ থেকে রক্ষা পেয়েছেন সেখানকার চাষিরা। একদিনের বৃষ্টির ফলেই আগামী এক মাস ফসলের মাঠে সেচ দিতে হবে না চাষিদের। এতে খরচ বাঁচবে ৪ কোটি টাকা।