হামাস-প্রধান
হামাস প্রধানের দৌড়ে এগিয়ে সাবেক নেতা খালেদ মিশাল
হামাসের পরবর্তী প্রধান হবার দৌড়ে আছেন ৪ নেতা। তবে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় সাবেক নেতা খালেদ মিশাল। যদিও অবসর ভেঙ্গে কাতার থেকে মিশাল দলের হাল ধরবেন কী না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। এদিকে ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল গাজাবাসী।
ইসরাইলের পাল্টা হামলার ওপর নির্ভর বৃহত্তর আঞ্চলিক যুদ্ধের শঙ্কা
ইসরাইলে প্রায় ২শ'টি মিসাইল হামলার জবাবে তেল আবিব ও তেহরানের হুঁশিয়ারি ও পাল্টা হুঁশিয়ারিতে উত্তপ্ত হয়ে আছে মধ্যপ্রাচ্য। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরাইলের পাল্টা হামলার ধরনের ওপর নির্ভর করছে বৃহত্তর আঞ্চলিক যুদ্ধের শঙ্কা। যদিও বছরব্যাপী গাজা যুদ্ধের কারণে ইসরাইল ও ইরান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক দিয়ে ব্যাকফুটে থাকায় আপাতত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর শঙ্কা নেই বলেই মত দিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
হুমকি-হামলা মোকাবিলায় ইসরাইলকে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা
হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যু কেন্দ্র করে ইরানের যেকোনো ধরনের হুমকি ও হামলা মোকাবিলায় ইসরাইলকে প্রস্তুত হতে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তেল আবিব পুরোপুরি প্রস্তুত বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ত্রিমুখী যুদ্ধের আশঙ্কায় দেশগুলোকে বারবার সতর্ক করা হলেও ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ইরানে হামাস প্রধানের জানাজা অনুষ্ঠিত
ইরানে অনুষ্ঠিতে হয়েছে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার জানাজা। আজ (বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট) রাজধানী তেহরানে হানিয়া ও তার দেহরক্ষীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
ত্রিমুখী সংঘাতে জড়াতে পারে ইসরাইল-লেবানন-ইরান
হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুতে উত্তাল হয়ে আছে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের আশঙ্কা ইসরাইলের সাথে ত্রিমুখী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে লেবানন ও ইরান। তাদের দাবি, গেল কয়েক মাস ধরে ইসরাইলের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও, হামাস প্রধানের ওপর হামলার কৃতিত্ব পরোক্ষভাবে তাদেরই। এদিকে, ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলছেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সেনারা প্রস্তুত আছে।
ইসমাইল হানিয়ার হামাস প্রধান হওয়ার গল্প
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া, পুরো নাম ইসমাইল আবদুস সালাম আহমেদ হানিয়া। হামাসের মধ্যে সামরিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ না হলেও রাজনৈতিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছিলেন তিনি। হামাসের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দায়িত্ব পালন থেকে শুরু করে গাজায় জিম্মি ও যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মিশরীয় ও কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের সাথে মূল আলোচক ছিলেন ইসমাইল হানিয়া।
তেহরানে সেনাবাহিনীর ভবনে হত্যা করা হয় হানিয়াকে
সৌদি আরব বলছে, ইরানের রাজধানী তেহরানে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ ভবনে অবস্থান করছিলেন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া। সেখানেই নিজের দেহরক্ষীর সঙ্গেই টার্গেট করে গাইডেড মিসাইল ছুঁড়ে তাকে হত্যা করা হয়। হামাস বলছে, ইসরাইলই এ হামলা চালিয়েছে। বদলা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সশস্ত্র সংগঠনটি। তবে এ ব্যাপারে একেবারেই নীরব ইসরাইল।