
বন্যা-ভূমিধসে ‘মৃত্যুপুরী’ ইন্দোনেশিয়া-শ্রীলঙ্কা; বিপর্যয়ের মুখোমুখি এশিয়ার ৫ দেশ
ঘূর্ণিঝড়-বন্যা-ভূমিধসে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখোমুখি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্তত ৫টি দেশ। আর মৃত্যুপুরীতে রূপ নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলঙ্কা। স্বজনহারা ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে চারপাশ। এমন পরিণতির জন্য জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাবকেই দায়ী করছেন আবহাওয়াবিদরা। বন্যা-ভূমিধসে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে দুর্যোগ প্রতিরোধী ও সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণে জোর দেয়ার পরামর্শও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়ার আঘাতে লণ্ডভণ্ড শ্রীলঙ্কার কয়েকটি অঞ্চল, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৩
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়ার আঘাতে লণ্ডভণ্ড শ্রীলঙ্কার বেশ কয়েকটি অঞ্চল। বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এখনও নিখোঁজ ১৩৯ জন। এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দেড় লাখ বাসিন্দা। শ্রীলঙ্কায় তাণ্ডবের পর এবার ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে তীব্র বেগে ধেয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। আগামীকাল (রোববার, ৩০ নভেম্বর) ভোরের দিকে আঘাত হানতে পারে। ‘ডিটওয়ার’ প্রভাবে পূর্বনির্ধারিত ৫৪টি ফ্লাইট বাতিল করেছে চেন্নাই বিমানবন্দর।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তিন দেশে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০০
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তিন দেশে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৪০০ জনে দাঁড়িয়েছে। নিখোঁজ অনেকে। এরমধ্যে ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়ার প্রভাবে শ্রীলঙ্কায় প্রাণ গেছে অন্তত ৮০ জনের। আর দেশটিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৪৫ হাজার পরিবারের দেড় লাখ সদস্য। অন্যদিকে বন্যা ও ভূমিধসে থাইল্যান্ডে ১৪৫ এবং ফিলিপিন্সে ১৭৪ জনের প্রাণ গেছে।

কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে তামা ও কোবাল্ট খনির সেতু ধসে নিহত ৩২
খনি উত্তোলনকারীদের অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের একটি তামা ও কোবাল্ট খনির সেতু ধসে অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছে। রোববার, দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব লুয়ালাবা প্রদেশে এ হতাহতের ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছেন কঙ্গোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রয় কাউম্বে মায়ান্ডে।

কেনিয়ায় ভূমিধসে নিহত ২১, এখনো নিখোঁজ ৩০
পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় ভূমিধসে ২১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া এখনও পর্যন্ত সন্ধান মেলেনি অন্তত ৩০ জনের। কয়েকদিনের অতিবৃষ্টির পর স্থানীয় সময় শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মারাকোয়েট ইস্ট অঞ্চলে এ ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।

দার্জিলিংয়ে বন্যা-ভূমিধসে প্রাণহানি বেড়ে ৩০, পানিবন্দি ৪৪ হাজার বাসিন্দা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংসহ উত্তরাঞ্চলীয় কয়েকটি জেলায় বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ জনে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অন্তত ৪৪ হাজার বাসিন্দা। কয়েক হাজার পর্যটক আটকে পড়েছেন দার্জিলিং ও ডুয়ার্সের হোটেল ও পর্যটনকেন্দ্রে। বৃষ্টিপাত থেমে গেলেও বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে অধিকাংশ নদীর পানি। এদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে এখনও পর্যন্ত প্রাণ গেছে ৬১ জনের।

উত্তরাখণ্ডে মেঘ বিস্ফোরণে ভূমিধস, দুইজন নিখোঁজ
ভারতের উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে মেঘ বিস্ফোরণের কারণে অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং ভূমিধসে অন্তত দুইজন নিখোঁজ হয়েছেন। স্থানীয়রা শঙ্কা করছেন, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। পানির প্রবল স্রোতে পর্যটননির্ভর এলাকা মুহূর্তে কাঁদামাটিতে তলিয়ে গেছে। এরইমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছে।

সুদানে ভূমিধস: এক গ্রামের ১ হাজার মানুষের প্রাণহানি
সুদানের পশ্চিমাঞ্চলের মারা পাহার এলাকায় ভূমিধসে নারী ও শিশুসহ এক গ্রামের অন্তত ১ হাজার মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, প্রাণে বেঁচেছেন কেবল ওই গ্রামের একজন বাসিন্দা। সুদান লিবারেশন আর্মির বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রয়টার্স।

এনজিও প্রকল্পগুলোকে স্থায়ী ও টেকসই করার আহ্বান বান্দরবান জেলা প্রশাসকের
প্রতিটি এনজিওর প্রকল্পকে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই করার আহ্বান জানিয়েছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে আয়োজিত জেলা পর্যায়ের এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান।

ভারতে ভূমিধসে নিহত ৩০, বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর ও হিমাচল প্রদেশ
ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে প্রবল বৃষ্টিপাতের পর ভূমিধসে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রশাসন। জম্মু অঞ্চলের কাটরায় হিন্দু তীর্থক্ষেত্র বৈষ্ণোদেবীর মন্দিরের কাছাকাছি ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর মন্দিরে তীর্থযাত্রা বন্ধ করা হয়েছে।

সুইডেনের ঐতিহাসিক কিরুণা গির্জা সরানো হচ্ছে নতুন ঠিকানায়
ভূমিধসের কবল থেকে রক্ষার জন্য সুইডেনের ঐতিহাসিক কিরুণা গির্জা সরানো হচ্ছে নতুন ঠিকানায়। ১১৩ বছরের পুরোনো এ গির্জাটিকে মূল ভিত্তি থেকে উঠিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে নিয়ে যাওয়া হবে ৫ কিলোমিটার দূরের একটি শহরে।

পাকিস্তানে বন্যা-ভূমিধসে নিহত ২৫, তিন শতাধিক পর্যটক আটকা
ভারী বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধ্বসে পাকিস্তানের গিলগিট-বালতিস্তান, আজাদ কাশ্মীর এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব অঞ্চলে আটকা পড়েছেন তিন শতাধিক পর্যটক।