পেজার

'নেতানিয়াহু প্রশাসন কেবল একটি পাল্টা হামলা চালিয়ে ক্ষান্ত হবে না'

ইসরাইলি ভূখণ্ডে ইরানের হামলার জবাবে নেতানিয়াহু প্রশাসন কেবল একটি পাল্টা হামলা চালিয়ে ক্ষান্ত হবে না, বরং এটি বড় কোনো সংঘাতের সূত্রপাত বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, তেহরানের বিরুদ্ধে তেল আবিব যে কোনো সময় প্রতিশোধ নেবে, এমনটি অনুমেয় হলেও, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী হামলার বিপরীতে হামলার নীতিতে বিশ্বাস করেন না। নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করার সক্ষমতা থাকার পরেও ইসরাইলের এই হামলা- ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দেয় বলেও দাবি মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষকদের।

ফ্লাইটে পেজার ও ওয়াকি-টকি নিষিদ্ধ করেছে ইরান

যাত্রীবাহী ও কার্গো বিমানসহ সব ধরনের ফ্লাইটে পেজার ও ওয়াকি-টকি নিষিদ্ধ করেছে ইরান। লেবাননে পেজার ও ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণে ৩৯ জন প্রাণহানির তিন সপ্তাহ পর এসে এই সিদ্ধান্ত নিলো তেহরান।

রাজনৈতিক কারণে ইসরাইলের সঙ্গে কঠোর হতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র

ইসরাইলের সঙ্গে হামাস, হিজবুল্লাহ, হুথির মতো ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সহিংসতা চরমে। যার ফলে মধ্যপ্রাচ্য এখন অনিবার্য সংঘাতের দিকে যাচ্ছে। এতো সংকটের মধ্যেও মিত্র দেশকে দমাতে কোনো কার্যকর ভূমিকাই রাখতে পারছে না একসময়ের ক্ষমতাসীন যুক্তরাষ্ট্র। সংবাদমাধ্যম সিএনএনের বিশ্লেষণ বলছে, দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে সংঘাতের প্রভাবমুক্ত রাখতেই ইসরাইলের সঙ্গে কঠোর হতে পারছে না মার্কিন প্রশাসন।

চার দশকের সবচেয়ে বড় আঘাতের শিকার হিজবুল্লাহ

চার দশকের সবচেয়ে বড় আঘাতের শিকার হিজবুল্লাহ

আঘাতে বিপর্যস্ত, অনুপ্রবেশকারীদের দৌরাত্ম্যে শত্রু-বন্ধু বোঝা দায়। পরিস্থিতির ভয়াবহতাই প্রমাণ, সবচেয়ে অন্ধকার সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী। চার দশকের সবচেয়ে বড় আঘাতের শিকার হয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অরাষ্ট্রীয় সশস্ত্র বাহিনীটি। তাও হারতে নারাজ হিজবুল্লাহ, প্রতিজ্ঞা করেছে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের শেষ দেখে ছাড়ার।

কমিউনিকেশন ডিভাইস ব্যবহারে ইরান গার্ডের নিষেধাজ্ঞা

পেজার ও ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণের ঘটনায় সব ধরনের কমিউনিকেশন ডিভাইস ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইরানের এলিট রেভোলিউশনারি গার্ডস করপস (আইআরজিসি)। গত সপ্তাহে লেবাননে ডিভাইস বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি ইরানের দুই শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানান।

পেজার বিস্ফোরণের পর ইলেকট্রনিক্স পণ্য রাখতে ভয়ে স্থানীয়রা

দুই দিনের ব্যবধানে লেবাননের বিভিন্ন অঞ্চলে তারবিহীন যন্ত্রের বিস্ফোরণে ৩২ জন নিহতের ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে জনমনে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দোকানে এসব জিনিস রাখতে তারা এখন ভয় পাচ্ছেন। এসব ডিভাইস নিয়ে শঙ্কায় আছেন ব্যবহারকারীরাও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন দু'একটি ঘটনা পুরো ইলেকট্রনিক্স পণ্যের সরবরাহে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

হিজবুল্লাহ'র ডিভাইসে কীভাবে বিস্ফোরক এলো!

তিন দশক আগে যেভাবে হামাসের প্রধান বোমা বিশেষজ্ঞকে হত্যা করেছিল ইসরাইল, সেই একই কায়দায় এবার হামলা চালালো লেবাননে। আমদানিকৃত পাঁচ হাজার পেজারে বিস্ফোরক ঢোকানোর কাজটি করে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের, দাবি হিজবুল্লাহ'র। জটিল এ অভিযানে ব্যবহারকারীদের হাতে পৌঁছানোর আগেই প্রতিটি পেজারে তিন গ্রাম করে বিস্ফোরক ঢোকায় মোসাদ গোয়েন্দারা। হিজবুল্লাহ'র ওপর এ হামলা আরও বড় কিছুর আভাস বলে মত বিশেষজ্ঞদের।