যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে গুরুত্ব পাবে বাংলাদেশি অভিবাসীদের ভোট
আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নির্বাচন। বিশ্বের প্রভাবশালী এ দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য লড়বেন ডেমোক্র্যাট পার্টির কামালা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিভিন্ন জরিপের তথ্য বলছে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের দিকে এগোচ্ছে এবারের মার্কিন নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশি অভিবাসীদের ভোটও গুরুত্ব পাবে এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে।
ভোট ভাগ হয়ে যাচ্ছে কামালা-ট্রাম্পের!
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের আগে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে ক্রমেই মুসলিম ভোটারদের সমর্থন কমছে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা হ্যারিসের। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিবর্তে এ ভোট যাচ্ছে তৃতীয় দলের ঝুলিতে। এতে ব্যাটল গ্রাউন্ডস খ্যাত অঙ্গরাজ্যগুলোতে ট্রাম্পের চেয়ে পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকিতে পড়েছেন কামালা। অন্যদিকে, অভিবাসীদের গলাধাক্কা দিয়ে দেশে ফেরত পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের বিতর্কে ব্যক্তিগত আক্রমণই বেশি
ব্যক্তিগত আক্রমণেই শেষ হলো ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান ভাইস প্রেসিডেন্টের ৯০ মিনিটের বিতর্ক। তাদের বিতর্কে উঠে এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা, মার্কিন অর্থনীতি, বন্দুক আইন, সীমান্ত নীতিসহ গর্ভপাত আইনের বিষয়গুলো। তবে ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গা নিয়ে প্রতিপক্ষ ভ্যান্সকে অনেকটাই ঘায়েল করেছেন ওয়ালজ। ভোটারদের মন জয়ে দুই রানিং মেটই আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। যদিও মার্কিন নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্টের বিতর্ক খুব একটা প্রভাব ফেলার ইতিহাস নেই।
ক্ষমতায় ফিরলে অবৈধ অভিবাসীদের দেশ ছাড়া করবেন ট্রাম্প!
প্রেসিডেন্ট হয়ে ক্ষমতায় ফিরলে গণহারে অবৈধ অভিবাসীদের দেশ ছাড়া করবেন, এমনটাই বলে রেখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই অভিবাসীদের সংখ্যা অন্তত ১০ লাখ বলে দাবি করছেন রিপাবলিকান প্রচারণা শিবির। কিন্তু প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর এ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই, আছে পাহাড়সম আইনি প্রতিবন্ধকতাও, বলছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।
'পুতিন ছাড়া কামালাকে সমর্থন দিচ্ছেন না কেউ'
নির্বাচিত হলে সামাজিক সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কমিয়ে দিতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটন ডিসিতে এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেছেন কামালা হ্যারিস। অন্যদিকে ট্রাম্পের দাবি, পুতিন ছাড়া কামালাকে সমর্থন দিচ্ছেন না কেউই। দুই প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে কম মন্দ ব্যক্তিকে বেছে নিতে হবে, পোপ ফ্রান্সিসের এমন আহ্বানে দ্বিধাবিভক্ত মার্কিনরা।
ট্রাম্প না বাইডেন, কার শাসনামলে মার্কিন অর্থনীতি শক্ত অবস্থায় ছিল?
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে চলছে নানা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ। প্রতিটি নির্বাচনের আগেই প্রচারণার মূল বিষয় হয়ে ওঠে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা। প্রার্থীরাও অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে ও একে গতিশীল রাখতে দেশ নানা প্রতিশ্রুতি। এ অবস্থায়, ট্রাম্প নাকি বাইডেন কার শাসনামলে মার্কিন অর্থনীতি শক্ত অবস্থায় ছিল, তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।