প্রবাস , উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে গুরুত্ব পাবে বাংলাদেশি অভিবাসীদের ভোট

আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নির্বাচন। বিশ্বের প্রভাবশালী এ দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য লড়বেন ডেমোক্র্যাট পার্টির কামালা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিভিন্ন জরিপের তথ্য বলছে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের দিকে এগোচ্ছে এবারের মার্কিন নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশি অভিবাসীদের ভোটও গুরুত্ব পাবে এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে।

সারা বিশ্বের চোখ এখন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে। ভোটারদের মন জয় করতে দেশটির এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটছেন কামালা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বলা হচ্ছে ডেমোক্রেট পার্টির কার্যকলাপ অনেক ভোটারের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। অন্যদিকে বর্তমানে বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও যুদ্ধের জেরে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

নিউইয়র্ক ডেলোয়ারের দীপান্বিতা ব্যানার্জি বলেন, 'এবার নির্বাচনে আমরা আশা করছি একম একটা লিডার যে হবে ফর দ্যা পিপল, বাই দ্যা পিপল এবং অলওয়েজ ডেডিকেট ফর দ্যা বেস্ট ইন্টারেস্ট অফ দ্যা পিপল।'

যুক্তরাষ্ট্রের কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট আসলাম আহমাদ খান বলেন, 'ডোনাল্ড ট্রাম্প যে সময়ে ক্ষমতায় ছিল সে সময় যুদ্ধ সে পরিহার করেছে। অপরের সঙ্গে বিশৃঙ্খলা বাধানো সে পরিহার করেছে। যে কারণে আমি এখনও কনফিউজড যে ডেমোক্র্যাটদের ভোট দিবো কি দিবো না।'

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এবার সাতটি অঙ্গরাজ্যকে সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে পেনসিলভেনিয়া, মিশিগান, অ্যারিজোনা ও নর্থ ক্যারোলিনা, উইসকনসিন, নেভাডা এবং জর্জিয়া। এসব রাজ্যের ভোটের উপর পাল্টে যেতে পারে প্রেসিডেন্ট হওয়ার হিসেব-নিকেশ।

আমেরিকা বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স ও ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান গিয়াস আহমেদ বলেন, 'আমরা জানি দুইটি পার্টি আমাদের ফরেন পলিসিতে ইসরাইর ইস্যুতে তারা ঐক্যমত। তারা মুসলমানদের সমর্থন করে না। তারপরও এবার একটি সুযোগ এসেছে যে মুসলমানরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা ভোটদান করি তাহলে মুসলমানরা যে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট চেঞ্জ করতে পারে সেই শক্তি প্রদর্শন করার সময় এবার এসেছে।'

যুক্তরাষ্ট্রে ১৬২ বিলিয়ন ভোটারের মধ্যে ইতোমধ্যে ৩০ মিলিয়ন নাগরিক আগাম ভোট দেয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। ২৬ অক্টোবর আগাম ভোট দেয়া শুরু হয়ে শেষ হবে ৩ নভেম্বর। দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য পেনসেলভেনিয়া ও মিশিগানে বাংলাদেশি অভিবাসীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য। তাদের ভোটে পাল্টে যেতে পারে পুরো মার্কিন নির্বাচনের ভোটের হিসেব।

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার কর্মী এনামুল হক বলেন, 'অনেক দিক থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে কামালা হ্যারিস অনেকটা এগিয়ে আছেন। বিশেষ করে আমাদের মানবাধিকার পরিস্থিতি, নারী-শিশু মূল্যায়ন এবং কর্মসংস্থানের বিষয়ে সুতরাং আমি বিশ্বাস করি কামালা হ্যারিস এই নির্বাচনে জয়লাভ করবে।'

নির্বাচন জমে উঠেছে। কে জিতবে আর কে হারবে এখনই বলা মুশকিল। তবে বাংলাদেশি অভিবাসীরা আশা করছেন যেই জিতুক না কেন কর্মসংস্থান, ইমিগ্রেশনের তড়িৎগতি এবং অন্যান্য বিসয়গুলো যেন আরও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়।

এসএস