উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

'পুতিন ছাড়া কামালাকে সমর্থন দিচ্ছেন না কেউ'

নির্বাচিত হলে সামাজিক সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কমিয়ে দিতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটন ডিসিতে এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেছেন কামালা হ্যারিস। অন্যদিকে ট্রাম্পের দাবি, পুতিন ছাড়া কামালাকে সমর্থন দিচ্ছেন না কেউই। দুই প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে কম মন্দ ব্যক্তিকে বেছে নিতে হবে, পোপ ফ্রান্সিসের এমন আহ্বানে দ্বিধাবিভক্ত মার্কিনরা।

দরজায় কড়া নাড়ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর নির্বাচন ঘিরে ভোটারদের মন জয়ে ব্যস্ত হয়েছে প্রধান দুই প্রার্থী কামালা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। চষে বেড়াচ্ছেন দেশটির প্রতিটি প্রান্তে। দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি। স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে ছোড়া হচ্ছে শব্দের তীর্যক বাণ।

এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কামালা হ্যারিস। এসময় তুলে ধরা হয় গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকার রক্ষার গুরুত্ব। কামালার অভিযোগ, দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিতে চাইছেন ট্রাম্প। তাই নির্বাচিত হলে সামাজিক সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কমিয়ে দিতে পারেন রিপাবলিকান প্রার্থী।

কামালা হ্যারিস বলেন, 'আমরা সংঘর্ষ করে জাতিকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিতে চাইছি। কিন্তু ট্রাম্প ও তার উগ্রপন্থি মিত্ররা চাইছেন যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ঠেলে দিতে। তারা বিলিওনিয়ার ও বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর কর্তনের সুবিধা দিবেন। সামাজিক সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ কমিয়ে দিবেন। বাতিল করবেন অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার আইন।'

কামালার সঙ্গে সুর মিলিয়ে কথা বলেছেন জো বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, গণতন্ত্র রক্ষায় থামাতে হবে ট্রাম্পকে।

জো বাইডেন বলেন, 'তার মতে কৃষ্ণাঙ্গ ও ব্রাউন অভিবাসীরা দেশের রক্তকে বিষাক্ত করছে। তার রানিংমেট ওহাইয়োতে বসবাসকারী হাইতিয়ান মার্কিনদের আক্রমণ করছেন। এটি ঠিক না। এগুলো বন্ধ করতে হবে। যেকোনো প্রেসিডেন্টের উচিত ঘৃণা প্রত্যাখান করা।'

ঘৃণা ও বিদ্বেষের অভিযোগ থাকলেও ভোটারদের সমর্থন পাচ্ছেন ট্রাম্প। এবার রিপাবলিকান প্রার্থীকে সমর্থন দিল লাস ভেগাস পুলিশ ইউনিয়ন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, তার প্রতি সমর্থন রয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও। অন্যদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ছাড়া কেউই সমর্থন দিচ্ছেন না কামালাকে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বরেন, 'আপনারা কি খেয়াল করেছেন পুতিন কামালাকে সমর্থন দিয়েছে? এই সমর্থনে কী হবে জানি না। সে নিশ্চয়ই খুশি হয়েছে। কারণ পুতিন ছাড়া তার প্রতি অন্য কারো সমর্থন নেই।'

এদিকে দুই প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে কম মন্দ ব্যক্তিকে বেছে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পোপ ফ্রান্সিসের এমন মন্তব্যের পর আলোচনা শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দ্বিধাবিভক্তির ছাপ পাওয়া গেছে মার্কিন ভোটারদের মধ্যে।

স্থানীয় একজন বলেন, 'আমি পোপের বক্তব্যের সঙ্গে একমত। নির্বাচনে দু'জন প্রার্থী থাকলেও কেউই সেরা নন। নিজের দল কিংবা মতকে প্রতিনিধিত্ব করতে তারা কেউই যোগ্য ব্যক্তি না।'

অন্য একজন বাসিন্দা বলেন, 'আমরা পোপের কথা শুনলেও সবসময় তা অনুসরণ করতে হবে বলে মনে করি না। ভোটের স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এই বিষয়ে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে।'

প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের পাশাপাশি প্রচারণা চালাচ্ছেন তার রানিংমেটরা। উইসকনসিনে ডেমোক্র্যাট ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী টিম ওয়ালজ জানান, নির্বাচিত হলে নারীদের অধিকার কেড়ে নিবেন ট্রাম্প। অন্যদিকে নর্থ ক্যারোলাইনায় ফুটবল ম্যাচ দেখতে সমর্থকদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান প্রতিদ্বন্দ্বী জেডি ভ্যান্স।

এসএস