এ অভিযানে বাবরের সঙ্গে ছিলেন আরেক বাংলাদেশি পর্বতারোহী তানভীর আহমেদ। জীবনের প্রথম আটহাজারি অভিযানে সফল হয়ে তিনি ভেঙেছেন আরেক প্রচলিত ধারণা, যে এই ধরনের উচ্চ পর্বতে উঠতে প্রাতিষ্ঠানিক মাউন্টেইনিয়ারিং কোর্স আবশ্যক। তানভীরের কাছে মূল সম্বল ছিল দেশিয় প্রশিক্ষণ আর প্রবল ইচ্ছাশক্তি।
‘মানাসলু অ্যাসেন্ট: ভার্টিক্যাল ডুয়ো’ শীর্ষক এ অভিযানের আয়োজন করে পর্বতারোহণ ক্লাব ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স।
অভিযানের ব্যবস্থাপক ফরহান জামান জানান, একই দিনে দু’বার মানাসলুর চূড়ায় উড়েছে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা। বাবর অক্সিজেন ছাড়াই আর তানভীর শুধু দেশে অর্জিত অভিজ্ঞতায় জয় করেছেন শিখর।
আরও পড়ুন:
দীর্ঘ প্রস্তুতি শেষে ২৬ সেপ্টেম্বর ভোরে গাইড বীরে তামাং ও ফূর্বা অংডি শেরপার সহায়তায় তারা চূড়ায় ওঠেন। বর্তমানে তারা নামার পথে রয়েছেন।
বাবর আলী জানান, তার স্বপ্ন এখন সব (১৪টি) আটহাজারি শৃঙ্গ জয় করা। অন্যদিকে তানভীরও চান নতুন নতুন অভিযানে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে।
এ অভিযানে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে একাধিক প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে রয়েছে সামুদা, ভিজুয়াল নিটওয়ারস, গিগাবাইট বাংলাদেশসহ আরও অনেকে।
এ সাফল্যে বাংলাদেশের পর্বতারোহণ আন্দোলন নতুন গতি পেলো, যা ভবিষ্যতে তরুণদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।





