নতুন আঙ্গিকে হলো বলী খেলার আয়োজন; মানুষের ঢল

চট্টগ্রামে আয়োজিত বলি খেলা
চট্টগ্রামে আয়োজিত বলি খেলা | ছবি: এখন টিভি
0

১২ বৈশাখ মানেই চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি মাঠে আবদুল জব্বারের বলী খেলা। এবার দেশিয় এই কুস্তি খেলার ১১৬তম আসরে অংশ নেয় ৮০ জন বলী। এবারের আসরে টানা দ্বিতীয়বার বিজয়ী হন কুমিল্লার বাঘা শরীফ। এদিকে বলী খেলা ঘিরে লালদীঘি মাঠের আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকায় বসেছে তিনদিনের বৈশাখী মেলা।

বৈশাখের সূর্য উপেক্ষা করা এই ভিড় ঐতিহাসিক জব্বারের বলী খেলাকে ঘিরে। যে খেলার সূত্রপাত ১৯০৯ সালে। ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে চাঁটগার যুবা তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে বক্সির হাটের ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার সওদাগার এই কুস্তি খেলার প্রচলন করেছিলেন। প্রতিবছর বারো বৈশাখে চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে বসে এই আয়োজন। এবার ছিল বলী খেলার ১১৬তম আসর।

কারও দেহে ধরা পড়ে তীব্র শক্তির ক্ষিপ্রতা, কারও হাতে যোদ্ধার নৈপুণ্য, কারও চোখে যেন লড়াকু আগুন। নানা বর্ণ আর বয়সের বলীদের চোখধাঁধানো কসরত আর শক্তির প্রদর্শনী চলে ২০ বাই ২০ ফুটের বালুর রিংয়ে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে এবার বিভিন্ন রাউন্ডে অংশ নেয় ৮০ জন বলী। সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেন নতুন পুরোনো মিলে ৮ জন হেভিওয়েট বলী।

বলীর আয়োজক শওকত আনোয়ার বাদল বলেন, '১৫০ জন বলী অংশগ্রহণ করেছে। সেখান থেকে যাচাই বাছাই করে আমরা ৮০ জন বলি নিয়েছি। ৮ জনকে আলাদাভাবে রেখেছি কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার জন্য।'

সেমি ফাইনালে টানটান উত্তেজনা পেরিয়ে, গতবারের মতো ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মুখোমুখি হন কুমিল্লা সদরের রাশেদ বলী ও হোমনার বাঘা শরীফ বলী। টানটান উত্তেজনার খেলায় কখনো ধরা পড়ে কৌশল কখনো শক্তি।

বলী খেলাকে ঘিরে আশপাশের চার কিলোমিটার এলাকায় বসে গ্রামীণ ঢংয়ের বৈশাখি মেলা। এই মেলায় পাওয়া যায় গৃহস্থালি, ঘর সজ্জা আর বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতির নানা হারিয়ে যাওয়া পণ্য। হস্তশিল্প, কুটির শিল্প কিংবা দেশীয় নানা সামগ্রী পেতে বছরজুড়ে এই মেলার অপেক্ষায় থাকেন চট্টগ্রামবাসী।

এসএইচ