অন্য সব খেলা
এখন মাঠে
0

শুটিং ফেডারেশনের ভবিষ্যৎ ঝাপসা নাকি স্বচ্ছ

দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর শুটিং ফেডারেশনে চলছে অচলাবস্থা। ছুটিতে আছেন খেলোয়াড়রা। অথচ দরজায় কড়া নাড়ছে এশিয়ান কাপ শুটিং টুর্নামেন্ট। এখনও ঘোষণা হয়নি নতুন কমিটি। সবমিলিয়ে যেন পরিকল্পনাহীনতার বেড়াজালে বন্দি শুটিং ফেডারেশন।

শুটিং ফেডারেশনের ভবিষ্যৎ ঝাপসা নাকি স্বচ্ছ? সুদূর আগামীর কথা আপাতত তোলা থাক কিন্তু কার্যকর কমিটির অবর্তমানে বর্তমানটাও যে দোদুল্যমান।

গ্রাউন্ড আছে শুটার নেই। দরজায় কড়া নাড়ছে এশিয়ান কাপ শুটিং। অথচ অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা নেই।

শুটিং ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুশতাক ওয়াইজ বলেন, ‘ব্যাংককে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এশিয়া কাপ খেলা শুরু হবে। এই চ্যাম্পিয়নশিপে এর আগেরবারও আমাদের টিমের ব্রোঞ্জ আছে। এবারও আমাদের ব্রোঞ্জ পাওয়ার মতো ক্যাপাসিটি আছে। আমি সম্ভাবনা দেখছি। কিন্তু এটার জন্য আমাদের আরও দুই থেকে তিন মাস আগে থেকে অনুশীলন করা উচিত ছিল। কারণ আমরা যেরকম বসে আছি, অন্য কোনো দেশ কিন্তু বসে নেই। সে হিসেবে আমরা কিন্তু অনেক পিছিয়ে যাচ্ছি। কারণ তারা খেলছে, তাদের প্র্যাক্টিস চলছে আমাদেরটা বন্ধ হয়ে আছে।’

পরিকল্পনাহীনতা আর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অভাবে উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকার পরেও প্রত্যাশিত অগ্রগতি হয়নি শুটিংয়ে। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাতেও যার প্রভাব বিদ্যমান। বেশিরভাগ প্রতিযোগিতায় দুই-তৃতীয়াংশ রাউন্ডে পদকের লড়াইয়ে থাকলেও শেষে এসে খেই হারিয়ে ফেলেন দেশের শুটাররা।

মুশতাক ওয়াইজ বলেন, ‘আমরা ধারাবাহিকতাতেই পিছিয়ে যাচ্ছি। এশিয়ান গেমসে আমাদের মেয়েদের টিম চীন, ইন্ডিয়া, ইরানের থেকে আমরা নম্বর ওয়ানে ছিল। আমার হাত-পা কাঁপছিল যে আমরা স্বর্ণ পেয়ে যাবো কি না। পরে গিয়ে আমরা অষ্টম হয়ে গেলাম।’

বর্তমানে ভারতে শুটিং ফেডারেশনে বাৎসরিক বাজেট হয় শতকোটি টাকা। বিপরীতে বাংলাদেশে সেখানে কোটির অঙ্কটাও স্পর্শ করে না। যদিও দুই দেশের বাস্তবতা ভিন্ন, তবুও নতুন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসায় নতুন ভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা ফেডারেশনের।

মুশতাক ওয়াইজ বলেন, ‘গত বছর ভারতের বাজেট ছিল ২৭৫ কোটি টাকা। আর বরাদ্দ ছিল ৩০০ কোটি টাকা। শুটিংয়ের জন্য এর বেশি খরচ করতে পারেনি। ক্রীড়া উপদেষ্টা যেহেতু ইয়াং, উনি যুবক। আমার মনে হয় উনি এখানে এসে দেখলে জিনিসটা বুঝে এটাকে ধরতে পারবেন।’

অবশ্য শুধু টাকা খরচ করলেই পদক মিলবে এমন নিশ্চয়তার সূত্র নেই। খেলোয়াড়দের মধ্যেও থাকতে হবে পদক জয়ের ক্ষুধা। তবে সবার আগে দরকার পদক জয়ের প্রস্তুতির জন্য শক্ত একটা মঞ্চ।

আগের সভাপতিকে অব্যাহতি দেয়ার পর কার্যকরী কমিটির অভাবে কার্যত বেশ কিছুদিন ধরেই বন্ধ আছে শুটিং ফেডারেশনের কার্যক্রম। ফলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এশিয়ান কাপ শুটিংয়ে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ পড়েছে অনিশ্চয়তার মুখে।

অথচ এশিয়ান কাপে নিয়মিতই পদক নিয়ে আসছে শুটাররা। তাই ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে শুটিং ফেডারেশনের প্রত্যাশা দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে কার্যক্রম সচল রাখার।

এসএস