ভারতীয় উপমহাদেশে পুষ্টিকর খাবার হিসেবে প্রতিদিনের খাবারে রাখা হয় ডাল। এবার সেই ডালকে নিজেদের ধাঁচে অ্যাথলেটদের সামনে পরিবেশনের জন্য তৈরি করবে প্যারিস অলিম্পিক্সের শেফরা।
মসুর ডাল ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান খাদ্যশস্য। যা মূলত পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত খাদ্য। মানবদেহে আমিষের প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব বিবেচনায় বলা হয়ে থাকে মসুর ডাল গরিবের জন্য মাংস। ফলে আমিষের অভাব পূরণ করতে খাবারটি যথেষ্ট ।
তবে হালকা লাল বর্ণের জায়গায় সবুজ ডাল ব্যবহৃত হবে অলিম্পিক্সে। বিশেষ সেই ডাল রেসিপির ২৫ শতাংশ উপকরণই ফ্রান্সে উৎপাদন হয়ে থাকে।
সোডেক্সো লাইভের নির্বাহী শেফ চার্লস গুইলয় বলেন, 'আমরা নিজেরা সবুজ রঙের একটি মসুর ডাল তৈরি করব। স্থানীয়ভাবে তৈরি সবুজ মসুর ডালের সঙ্গে থাকবে প্রোটিন সমৃদ্ধ দই, টমেটো ও ধনেপাতা। এবং খাবারটিতে হালকা মচমচে স্বাদ আনতে সামান্য ভুট্টার তেল ব্যবহার করব।'
অ্যাথলেটদের পরিবেশন করার জন্য পাঁচশোর বেশি খাবারের আয়োজন থাকবে প্যারিস অলিম্পিক্সে। প্রতিদিন ৪০ হাজারের বেশি খাবার তৈরি করতে হবে দায়িত্বরত শেফদের। প্রতিদিন ২০৬টি দেশের অ্যাথলেটদের খাবার তৈরিতে কাজ করবে ৩০০ জন শেফের বড় একটি দল।
গুইলয় আরও বলেন, 'পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে ১৫ হাজার ক্রীড়াবিদের নাস্তা, দুপুর এবং রাতের খাবার আছে। এর সঙ্গে প্রশিক্ষণের আগে এবং প্রতিযোগিতা শুরু এবং শেষের পরে হালকা নাস্তার ব্যবস্থা থাকবে। লজিস্টিক চ্যালেঞ্জের সঙ্গে সঙ্গে ক্রীড়াবিদদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা এবং খাদ্যভ্যাসকে মাথায় রেখে আয়োজন করা সত্যিই বিশাল ব্যাপার।'
বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় সোডেক্সো লাইভ প্রতিষ্ঠানটি ফ্রেঞ্চ ওপেন টেনিস এবং ফ্রেঞ্চ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফুটবলে খাবার সরবরাহ করে থাকে।