ফুটবলে বাংলাদেশের জন্য ২০২৫ সালটা ছিল অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতার। বছরের শুরুতেই নারী ফুটবলারদের বিদ্রোহ। সাবিনা-সানজিদাদের বাদ দিয়েই দল গোছাতে শুরু করেন হেড কোচ পিটার বাটলার। এমন সময় কিছুটা স্বস্তি হয়ে আসেন হামজা চৌধুরি। মার্চে তার আগমনে যেন নতুন প্রাণ পায় বাংলাদেশ দল।
বছরের মাঝামাঝি সময়ে নতুন আঙ্গিকে গড়া দল নিয়েই এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে যান বাটলার। সেখানে দারুণ খেলা উপহার দিয়ে প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপে জায়গা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। এক মাস পর ইতিহাস গড়ে অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলও। বয়সভিত্তিক পর্যায়েও এশিয়ান কাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে লাল-সবুজরা।
আরও পড়ুন:
এদিকে হামজার পর সামিত সোম-ফাহমিদুল-জায়ানদের আগমনে ফুটবলে সবার আগ্রহ বাড়ে বহুগুণ। প্রায় প্রতিটি হোম ম্যাচেই স্টেডিয়াম থেকেছে দর্শক পূর্ণ। যদিও মাঠের খেলায় সাফল্যের দেখা মেলেনি। ৭ ম্যাচে জয় এসেছে মাত্র দুটিতে। এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে যেতে না পারার আক্ষেপও আছে। তবে বছরের শেষ ম্যাচে দীর্ঘ ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর আনন্দ ধরা দেয় ফুটবলে।
অবশ্য আলোর বিপরীতে ছিল অন্ধকারও। আর্থিক জটিলতার কারণে আবাহনী-মোহামেডান, বসুন্ধরার মতো ফুটবল ক্লাবগুলো নানা সময়ে পেয়েছে নিষেধাজ্ঞা। আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবলেও ছিল না বলার মতো অর্জন। যদিও ঘরোয়া ফুটবলে দীর্ঘ ২৩ বছর পর লিগ শিরোপা জয়ের আনন্দে মেতেছিল মোহামেডান।
আগের কয়েক বছরের তুলনায় ২০২৫ সালে ফুটবলে সাফল্যের হার ছিল তুলনামূলক বেশি। দর্শক আগ্রহও আগের চেয়ে বেড়েছে। বিদায়ী বছরের প্রাপ্তিগুলোকে সঙ্গী করে নতুন বছরে আরও এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের ফুটবল, এমন স্বপ্ন এখন সমর্থকদের চোখে।





