পদত্যাগপত্র জমা ইস্যুতে এভাবেই অভিব্যক্তি জানালেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার আগে দেশ সেরা কোচ হিসেবে প্রশংসায় ভেসেছেন। তবে জাতীয় দলে যোগ দেয়ার পর সিন্ডিকেট-খবরদারির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে, হয়েছেন চক্ষুশূল। তবে সমালোচনাকে যে পাত্তা দেন না কোচ সালাউদ্দিন!
জাতীয় ক্রিকেট দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘কার চক্ষুশূল হলাম আর কার চোখে ভালো থাকলাম, আমার তো আপনার চোখে ভালো থাকার দরকার নেই। আমি আমার কাজ করি। আমি আমার কাজ করে যদি স্যাটিসফাইড হই, তাহলে এটিতে আমি সব থেকে বেশি খুশি। দিন শেষে আমি নিজের কাছে জবাবদিহি দিতে পারব। আর ওপরওয়ালার কাছে জবাবদিহি দিতে পারবো।’
চব্বিশের ডিসেম্বরে সালাউদ্দিন দায়িত্ব নেয়ার পর লিটন-মিরাজরা টেস্ট ও ওয়ানডেতে ভালো করতে না পারলেও টি-টোয়েন্টিতে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। মোহাম্মদ সালাউদ্দিন মনে করেন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কারণেই এমনটা সম্ভব হয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লিটনরা সেমিফাইনাল খেলবে বলে প্রত্যাশা তার।
আরও পড়ুন:
মোহাম্মাদ সালাউদ্দিন আরও বলেন, ‘সামনে আমাদের খুব ভালো সুযোগ আছে। টি-টোয়েন্টিতে। রাইট জায়গায় রাইট প্লেয়াররা যদি ঠিকভাবে ক্লিক করে তাহলে আমাদের অনেকদূর যাওয়া সম্ভব। আমি আশা করি আমরা সেমি-ফাইনালে যাব।’
অবশ্য টি-টোয়েন্টিতে সাফল্য পেলেও জাকের-শামীম-সোহানদের নিয়ে গড়া মিডল অর্ডার বড় দুশ্চিন্তার কারণ কোচের। সমাধানের পরিকল্পনা বলতে গিয়ে আবারো রিয়াদ সাকিব-মুশফিকদের স্মরণ করলেন কোচ সালাউদ্দিন।
কোচ সালাউদ্দিন বলেন, ‘মিডল অর্ডারে যারা খেলেন তাদের অনেক সেন্সিবল হতে হয়। লাস্ট ১৫-১৬ বছর থেকে রিয়াদ, সাকিব, মুশফিক এরাই খেলেছে। নতুন প্লেয়াররা খুব বেশি সুযোগ পায়নি। এ জায়গায় একটু ম্যাচিয়্যুর্ড প্লেয়ার দরকার হয়। আমরা চেষ্টা করছি এ জায়গাগুলোতে যে স্কিলের ঘাটতি আছে সেটি নিয়ে কাজ করার। কারণ খুব বেশি সময় পাই না আমরা স্কিল ডেভেলপ করার।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের আর কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নেই। প্রস্তুতির জন্য একমাত্র মঞ্চ বিপিএল। তবে সেটা বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য আদৌ কি আদর্শ হবে?
তিনি বলেন, ‘বিপিএলের পরেও হয়তো আমরা প্রস্তুতির কিছুটা সময় পাবো। একটি জিনিস ভালো তারা ফরমেটে খেলছে। আমাদের লক্ষ্য হলো আমাদের ছেলেগুলো রাইট পজিশনে খেলছে কিনা দেখা। এটিই তো বেস্ট প্র্যাক্টিস যে ম্যাচ খেলছে।’
ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির ব্যবধান বিস্তর। তবে ব্যবধান কমিয়ে গুরু-শিষ্যরা মিলে একদিন সাফল্য আনবেন লিটন-সালাউদ্দিনরা। সেই অপেক্ষায় বাংলাদেশ।





