কাতার বিশ্বকাপকেই নিজের শেষ বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। তাকে বিশ্বকাপ ট্রফি উপহার দিতে প্রাণপনে লড়ে যান আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা। নিজেও কম যাননি। সবার সঙ্গে দারুণ রসায়নের পাশাপাশি কিংবদন্তি পারফরম্যান্সে পরম আরাধ্য সোনালী ট্রফিটা নিজের করে নেন ক্ষুদে জাদুকর।
দিন গড়াতে থাকে। ইউরোপ ছেড়ে মেসি পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। যেখানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পরবর্তী বিশ্বকাপ। সৌদির অঢেল অর্থের প্রস্তাব দূরে ঠেলে লিওর আটলান্টিক পাড়ি দেয়ার ঘটনায় অনেকেই দুইয়ে দুইয়ে চার মেলান। ধারণা করেন, পরের বিশ্ব আসরেও খেলতে যাচ্ছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। তবে এতদিন এ নিয়ে সরাসরি কোন জবাব না দিলেও, এবার পরিষ্কার করলেন নিজের অবস্থান।
লিওনেল মেসি বলেন, ‘সত্যি কথা হচ্ছে— হ্যাঁ, আমি খেলতে চাই। বিশ্বকাপে খেলতে পারা অসাধারণ কিছু। আমি অবশ্যই সেখানে থাকতে চাই। দলকে সাহায্য করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চাই। যদি আমি সেখানে থাকতে চাই, আমাকে প্রতিটা দিন মূল্যায়ন করতে হবে। যখন আমি ইন্টারের হয়ে প্রাক মৌসুম প্রস্তুতি শুরু করবো, তখন দেখবো আমি শতভাগ ফিট আছি কি না! আমি সত্যিই খুব আগ্রহী কারণ এটি বিশ্বকাপ। আমরা গেলোবারের চ্যাম্পিয়ন, যদি এবারও সেটি ধরে রাখতে পারি তাহলে দুর্দান্ত হবে। আর জাতীয় দলের হয়ে খেলা সবসময়ই স্বপ্ন।’
ফুটবলার থেকে বিশ্লেষক এমনকি সমালোচকরাও একবাক্যে লিওনেল মেসির গ্রেটনেস মেনে নেন। সর্বকালের সেরার তালিকায় অবলীলায় শীর্ষে রাখেন। আর্জেন্টাইন মহাতারকা জানালেন, তার চোখে কারা সর্বকালের সেরা।
আরও পড়ুন:
মেসি বলেন, ‘আমাদের আর্জেন্টাইনদের কাছে সর্বকালের সেরা এবং আদর্শ হলেন ম্যারাডোনা। তিনি আমাদের কাছে সবকিছু। অন্য খেলার কথা যদি বলি, মাইকেল জর্ডান আছেন। ফেদেরার, নাদাল, জকোভিচ আছেন, তারা টেনিসকে অন্য লেভেলে নিয়ে গিয়েছিলেন। বাস্কেটবলে যেমন লেব্রন, স্টেফিরা আছেন। আরো অনেকে আছেন যাদের কথা আমার হয়তো এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না।’
যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে লিওনেল মেসির আগমনে পাল্টে গেছে সেখানকার চিত্র। বিশ্বজুড়ে তার দলবদল যেমন আলোড়ন তোলে তেমনি সেখানকার ফুটবলেও সবার নজর ফিরেছে। মেসির চোখে পরিবর্তন কতটা দৃশ্যমান?
এ ফুটবল জাদুকর বলেন, ‘ইন্টার মায়ামি কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, সারাবিশ্বেই এখন অতিপরিচিত নাম। দলটিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। তবে আরো পরিবর্তনের সুযোগ আছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলকে আরো বেশি জনপ্রিয় করতে চাইলে সব ক্লাবকে সব ধরণের ফুটবলার সাইন করার সুযোগ দেয়া উচিত। নিয়মনীতির বেড়াজালে আটকে রাখা উচিত নয়। যদি সব ক্লাব সে সুযোগ পায় তাহলে আরো অনেক তারকা ফুটবলার এখানে খেলতে আসবে।’
মেজর লিগেও নিজের ছন্দ ধরে রেখেছেন এলএম-টেন। চলতি মৌসুমে জিতে নিয়েছে গোল্ডেন বল ও গোল্ডেন বুট। বিশ্বকাপের আগে এমন পারফরম্যান্স নিশ্চয়ই মেসিকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। সঙ্গে সমর্থকদের দেবে আশাবাদ।





