এভাবেও ম্যাচ হারা যায়! দুর্দান্ত কামব্যাক করেও কান্না। ট্র্যাজেডি বোধহয় এটাকেই বলে।
ঘরের মাঠে প্রায় ২০ হাজার সমর্থকদের সামনে হংকং-চায়নার বিপক্ষে বাঁচা মরার লড়াই। জিতলে বেঁচে থাকবে এশিয়ান কাপে খেলার স্বপ্ন। তাই প্রথম থেকেই উজ্জীবিত ছিলো লাল-সবুজদের প্রতিনিধিরা।
দেশের ফুটবলের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া হামজা চৌধুরী এ ম্যাচে করলেন দারুণ কিছু। আরাধ্য সেই গোল এলো ঝাকরা চুলের হামজার কাছে থেকেই। ম্যাচের ১৩ মিনিটে হংকংয়ের গোলরক্ষক ফাঁকি দিয়ে যখন দুর্দান্ত ফ্রি কিকে প্রথম গোলটা বাংলাদেশকে উপহার দিলেন হামজা। তখন গ্যালারি থেকে ভক্তদের বাধভাঙ্গা উল্লাসে মুখর হয় পুরো জাতীয় স্টেডিয়াম।
তবে প্রথমার্ধ শেষে স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ সময়ে এসে ডিফেন্ডারদের ভুলে গোল হজম করতে হয় হামজাদের। ১-১ গোলের সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুদল।
বিরতির পর নেমেই খেই হারায় লাল-সবুজরা। ম্যাচের ৫০ মিনিটে রক্ষণের ভুলে দ্বিতীয় গোল হজম করে বাংলাদেশ। ততক্ষণে গ্যালারি থাকা দর্শকরা নিশ্চুপ প্রায়। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে জামাল, ফাহমিদুল আর শোমিত মাঠে নামলে কিছুটা হলেও স্বস্তি আসে দর্শক সারিতে।
আরও পড়ুন:
তবে সেই স্বস্তি বিষাদে পরিণত হয় বাংলাদেশ তৃতীয় গোলটি হজম করলে। ৭৪ মিনিটে রক্ষণকে ঘোল খাইয়ে পরাস্ত করে রাফায়েল মারকিস গোল করেন। ততক্ষণে এশিয়ান কাপে খেলা স্বপ্ন পরিণত হয় দুঃস্বপ্নে।
তবে শেষ দিকে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরান শেখ মোরসালিন। হংকং গোলরক্ষকের ভুলকে কাজে লাগিয়ে বল জড়ান জালে। যেন কিছুটা হলেও প্রাণ ফিরে পায় লাল-সবুজ শিবির।
অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে জাদু দেখালেন শোমিত শোম। মোরসালিনের কর্নার থেকে বল পেয়ে হেড দিয়ে জড়ালেন জালে— বাংলাদেশ সমতায়। তবে শেষ মিনিটে গোল খেয়ে ৪-৩ গোলে হারতে হলো বাংলাদেশকে।
শেষটা অন্যরকম হলেও পারতো। কিন্তু আরও একবার আক্ষেপ সঙ্গী হলো হামজাদের। আরও একবার ভাঙা হৃদয় নিয়ে ঘরে ফিরলেন দর্শকরা।





