গাজায় সামরিক অভিযান ও গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। যার ফলে দিন দিন ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে দেশটি। ক্রীড়াক্ষেত্র, বিশেষ করে ফুটবল মাঠে ইসরাইলের বিপক্ষে প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায় ফুটবলার থেকে শুরু করে মাঠে আসা দর্শকদেরও। এবার ফুটবল পরাশক্তির দেশগুলোও হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে ইসরাইলকে নিষিদ্ধ করার আলোচনা চালাচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরে ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা উয়েফা ও বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফায় ইসরাইলকে সাময়িকভাবে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল থেকে নিষেধাজ্ঞা দিতে দাবি ও আলোচনা বেড়েছে।
উয়েফার নির্বাহী কমিটি এমন এক ভোটের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে যা ইসরাইলকে ইউরোপীয় ফুটবল থেকে বহিষ্কার করতে ভূমিকা রাখতে পারে। এতে আসন্ন বিশ্বকাপে দেশটির যোগ্যতা ও অংশগ্রহণও এখন প্রশ্নের মুখে।
যদিও ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ইউরোপী অঞ্চল থেকে অংশ নিচ্ছে ইসরাইল। এরই মধ্যে গ্রুপ ‘আই’ থেকে ৫ ম্যাচ খেলেও ফেলেছে দলটি। এছাড়া ইউরোপা লিগেও খেলছে ইসরাইলের ক্লাব তেল আবিব।
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন ইসরাইলকে ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করার জোর দাবি জানায়। আশা করা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ইসরাইলকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা আসতে পারে।
ইসরাইল যাতে ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ না হয়, সে ব্যাপারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু প্রচার শুরু করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে অবশ্য ইসরাইলের সমর্থনে বিবৃতি দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ইসরাইলকে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন থেকে বিরত রাখার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরোধিতা করবে তারা।
২০২৬ বিশ্বকাপ বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্পেন। দেশটির সরকার জানিয়েছে, যদি ইসরাইল আসন্ন বিশ্বকাপে অংশ নেয় তাহলে তারা বিশ্বকাপে অংশ নেবে না।
এখন দেখার বিষয় গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরাইল শেষ পর্যন্ত ফুটবল থেকে নিষেধাজ্ঞা পায় কি না। আর যদি এরকম কিছু হয়, তাহলে তা ফুটবল বিশ্বে নজির হয়ে থাকবে।





