নারী দল কিংবা বয়সভিত্তিক ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই দাপট বাংলাদেশের। আরো একবার চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরার সুযোগ লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
অরুনাচলে দলগুলো যখন পা রাখে তখন পাক-ভারত সীমান্তে অস্থিরতা। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার ক্ষণ কাটিয়ে মাঠে নিজেদের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন গোলাম রাব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। আসরে মালদ্বীপের বিপক্ষে ড্র দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও, পরের ম্যাচেই ভুটানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আর ফাইনালে ওঠার বাধা উতরে যায় নেপালকে ধরাশায়ী করে।
তিন ম্যাচে অপরাজিত থেকে আত্মবিশ্বাস সঞ্চয় করেছে বাংলাদেশ। সেই পুঁজি নিয়েই স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে ট্রফির লড়াইয়ে নামছেন ফয়সাল-সুমনরা।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল দলের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন বলেন, 'আমাদের ছেলেরা এই টুর্নামেন্টে প্রত্যেক ম্যাচই ভালো খেলেছে। তারা এখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছে। তারা ফাইনালের জন্য প্রস্তুত আছে।'
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল দলের অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল বলেন, ‘ইন্ডিয়া ভালো টিম। আমরা রেসপেক্ট করি। কিন্তু আমরা এসেছি আমাদের লক্ষ্য পূরণের জন্য। আমরা আমাদের জায়গা থেকে ভালো খেলার চেষ্টা করবো।’
তবে শিরোপা উৎসবে মাতার আগে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে বাংলাদেশকে। যুব সাফে গেলবার সাফ জয় করে বাংলাদেশ, তবে তার আগে তিনবার ট্রফি উঁচিয়ে ধরে ভারতীয়রা। এবারের আসরেও দুর্দান্ত ছন্দে আছে দলটি।
রীতিমতো গোল উৎসবে মেতেছে যেন তারা, তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছে ১৫ বার। বিপরীতে নিজেদের রক্ষণকে দুর্গ বানিয়ে অক্ষত রেখেছে গোলবার।
ভারতের দুর্ভেদ্য রক্ষণে ছেদ ফেলতে পারবে তো বাংলাদেশ? ঘরে ফেরাতে পারবে ব্যাক টু ব্যাক ট্রফি?