চার বছরেও শেষ হয়নি জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার

.
ফুটবল
এখন মাঠে
0

২০২১ সাল থেকে শুরু হওয়া দেশের জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার এখনও শেষ করতে পারেনি ক্রীড়া পরিষদ। এর জন্য অবশ্য বিগত সময়ের প্রকল্প পরিচালকদের দায়ী করলেন সংস্থাটির সচিব। নতুন বাংলাদেশে কোনো অনিয়ম হলে ছাড় নয় বলে হুঁশিয়ারি দেন সচিব। অন্যদিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষের ব্যাপারে আশাবাদী নতুন প্রকল্প পরিচালক।

২০২১ সালের জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ শুরু হওয়া থেকে এখন পর্যন্ত যুব এবং ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে এসেছেন তিন কর্তা দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে সংস্কার কাজ করতে এত সময় লাগার কারণ কি?

কয়েকবার সময় বাড়িয়ে স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ এখনও চলমান। এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা কম হয়নি। সময়ক্ষেপণ হওয়ায় একপর্যায়ে ধীরগতির কারণ খতিয়ে দেখার কথাও জানান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা খোদ নিজেই।

স্টেডিয়ামটিতে গেল ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হলেও ফ্লাডলাইট ও পূর্বপাশের শেড বসানোর কাজ এখনও শেষ হয়নি। এরমধ্যে বারংবার সময় বাড়িয়ে বাফুফে'কে মাঠও বুঝিতে দিতে ব্যর্থ এনএসসি। মূলত ২০২১ সালে স্টেডিয়ামটির সংস্কার শুরু হলেও ২০১৯ সাল থেকে কাগজ চালাচালির মধ্য দিয়ে শুধু সময় গড়িয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

স্থপতি মাসুদুর রহমান খান বলেন, ‘কনসালটেন্ট ছাড়াই উনারা প্রথমে একটা প্রকল্প হাতে নেন রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্প হিসেবে।’

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালক আজমুল হক বলেন, ‘কাজ করতে করতে কিছু চাহিদা বেড়ে যায়। যেহেতু চাহিদা বেড়ে যায় যার ফলে আমাদের রিভাইস করতে হয়। এভাবে কিছু বেড়েছে আর কিছু জিনিসের দাম বেড়েছে।’

এরপর থেকে পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন বিভাগে দায়িত্বশীল ব্যক্তির পরিবর্তন হয় চারবার। সংস্কারে ধীরগতির দায় বিগত সরকারের আমলে থাকা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দিকে তীর ছুড়েন সংস্থাটির সচিব।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এই জাতীয় দায় দায়িত্ব আসলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিতে হবে। এখন সময় এসেছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি আমরা কাজগুলো না করি প্রকৃত অর্থে রাষ্ট্রের অপচয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অপচয়। এটা কিন্তু জনগণের অর্থের অপচয়।’

পরিষদের সচিবের সঙ্গে একমত পোষণ করেন বর্তমানে প্রকল্প পরিচালক আজমুল হকও। জানান- বিগত দিনে দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে অনেক আগেই শেষ হতো এই সংস্কার কাজ।

আজমুল হক বলেন, ‘সকল ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা কিন্তু কাজ করছি। বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন তদন্ত হচ্ছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

এর আগেও তিনবার সংস্কার কাজ হয়েছে স্টেডিয়ামটির। তবে এবারের মতো চারবছরের বেশি সময় লাগেনি কোনোবারই। সংস্কারের শুরুতে কাজ করা স্থপতি নিজেই খোলাসা করেন এত দীর্ঘ সময় লাগার কারণ।

স্থপতি মাসুদুর রহমান খান বলেন, ‘কাজ শেষ করার জন্য যে সময় দেয়া হয় তার তিনগুণ সময় লাগে বিভিন্নরকম অনুমোদন জটিলতা কাটানোর জন্য।’

জাতীয় স্টেডিয়ামের মতো বৃহৎ এই ক্রীড়া স্থাপনা সঠিক সময়ে কাজে লাগাতে না পারলে দিনশেষে ক্ষতির ভার দেশের ক্রীড়াঙ্গনকেই বইতে হবে।

এসএস