গেল ৯ নভেম্বর স্ট্যান্ডিং আর অ্যাডহক মিলিয়ে বেশ কয়েকটি কমিটির প্রধানের নাম প্রকাশ করে বাফুফে। এরমধ্যে অন্যতম পেশাদার লিগ কমিটি। ঘরোয়া লিগের সর্বোচ্চ আসর প্রিমিয়ার লিগ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। তবে, বাফুফে থেকে এখন অব্দি প্রকাশ করা হয়নি পেশাদার লিগ কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা। সেই কমিটি নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে ফুটবল পাড়ায়।
ঘটনার শুরু ২৬ নভেম্বর। বসুন্ধরা কিংসের মিডিয়া গ্রুপে পেশাদার লিগ কমিটির একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে তা অবশ্য সরিয়ে নেয়া হয়। তালিকায় সদস্য হিসেবে নাম ছিল তৃণমূলের ফুটবল সংগঠক এখলাসউদ্দিনের।
তিনি শনিবার বাফুফের পুনর্নির্বাচনে সাইফুর রহমান মনির কাছে সদস্যপদে হেরে যান। নির্বাচনের দুই দিন আগে এখলাসউদ্দিনকে নিয়ে বাফুফে নির্বাচন কমিশন বরাবর অভিযোগ দেন সাইফুর রহমান মনি। কারণ হিসেবে লিগ কমিটিতে রাখার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। তবে, সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
বাফুফে নির্বাচনের প্রধান কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘যেটা আমাদের বলা হয়েছে সেটা সত্য নয়। উনি যে ডকুমেন্ট দিয়েছেন সেটা আনসাইন্ড পেপার।’
নির্বাচনের দিনই বাফুফের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জানান, এখলাসউদ্দিনকে একটি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে যুক্ত করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘যিনি জয়লাভ করেছেন তাকে আমি অভিনন্দন জানাই এবং যিনি জয় পান নি তিনিও আমাদের একজন কাউন্সিলর। তাকেও আমি ধন্যবাদ জানাই। ভবিষ্যতে হয়ত তিনি নির্বাচনের মাধ্যমে আবার আসবেন। আপনারা জানেন যে, আমাদের যে স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলো আছে সেখানে একটি কমিটিতে তাকে রাখা হয়েছে।’
অথচ এই ফুটবল সংগঠক জানেন না তাকে রাখা হয়েছে সেই কমিটিতে।
ফুটবল সংগঠক এখলাস উদ্দিন বলেন, ‘আমি আসলে জানিনা, আমি ফরমালি কারো কাছ থেকে ফোন পাই নি। এটা একটা বায়ুবীয় মেসেজ। কে বা কারা এটা হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুকে ছেড়েছে। লীগ কমিটির চেয়ারম্যান বা বাফুফে থেকে আমাকে জানানো হয়নি।’
বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটি নিয়ে নাটক এখানেই শেষ নয়। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বিপিএল উদ্বোধনের দিন সদস্য হিসেবে অংশ নেন মোহাম্মদ সেলিম।
বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটির মেয়াদ এক বছর। প্রায় এক মাস আগে ফেডারেশনের তরফ থেকে কমিটির চেয়ারম্যানের নাম প্রকাশ করা হয়।