ফুটবল
এখন মাঠে
0

ফিফা উইন্ডোতে ম্যাচ খেলা হচ্ছে না সাফজয়ী নারীদের

আসন্ন ফিফা উইন্ডোতে ম্যাচ খেলা হচ্ছে না সাফজয়ী নারীদের। এ বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে যে মেয়েদের ফিফা উইন্ডো আছে, তা জানেন না স্বয়ং বাফুফে নারী উইং চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। টানা দুইবার সাবিনারা সাফ জিতলেও ফেডারেশনের লক্ষ্য আগামী বছর ২-৩টা ফিফা উইন্ডোতে ম্যাচ আয়োজন করা।

বেতন অনিয়মিত। সুযোগ হয় না ফিফা উইন্ডোতে নিয়মিত ম্যাচ খেলারও। সদ্য শেষ হওয়া সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের মাঝপথেই কোচের সঙ্গে জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড়দের দ্বন্দ্বের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এমন বাস্তবতায় দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে বাংলার দামাল কন্যারা। সেটার রেশ না কাটতেই নারী ফুটবলারদের জন্য এলো দুঃসংবাদ। আসন্ন ফিফা উইন্ডোতে তাদের জন্য কোনো ম্যাচ আয়োজন করবে না বাফুফে।

বাফুফের নারী উইং চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘এখন এই মুহূর্তে কোনো ম্যাচ আয়োজন করছি না। আগে স্পন্সর জোগাড় করতে হবে। এইটা নিয়ে আমি মার্কেটিংয়ে বসেছিলাম।’

ম্যাচ আয়োজন দূরে থাক, চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে যে নারীদের ফিফা উইন্ডো আছে, তা জানেন না স্বয়ং নারী উইং চেয়ারম্যান।

মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘এই বছরের উইন্ডোতে আমি যাচ্ছি না। আগামী বছরের উইন্ডোতে যাবো তবে প্রথম উইন্ডোতে যেতে পারবো কিনা বলতে পারছি না।’

অথচ টানা দুই মেয়াদে ফিফার কাউন্সিল সদস্য ছিলেন কিরণ। ফুটবলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার অজ্ঞতার খবর অবশ্য নতুন নয়। কিরণ এএফসির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যপদে থাকা সত্ত্বেও আমন্ত্রণ পেলেও তার উদাসীনতায় নারীদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দেখা যায়নি বাংলাদেশি কোনো ক্লাবকে।

নিয়মিত ম্যাচ খেলার আকুতি জানানো মেয়েদের আগামী বছরে যে, সব উইন্ডোতে খেলানো হবে না তা বাফুফে কর্তাদের কথায় পরিষ্কার।

বাফুফের বিপণন কমিটির চেয়ারম্যান ফাহাদ করিম বলেন, ‘আগামী বছর ফিফার ৫ টি উইন্ডো রয়েছে। তবে নারীদেরকে দুই থেকে তিনটি উইন্ডোতে খেলতে দেয়ার চেষ্টা থাকবে।’

নারী উইং চেয়ারম্যান বলেন, ‘ফিফার ম্যাচগুলো খেলতে পারি না টাকার জন্য। স্পন্সর পেলে আমি সব লেভেলেই খেলাতে পারি।’

এর আগে সালাউদ্দিনের সময় অর্থের অভাব দেখিয়ে সাবিনাদের অলিম্পিক বাছাই খেলতে মিয়ানমারে পাঠায়নি বাফুফে। সাফে টানা দুইবার সাফল্য পাওয়ার পরও যদি টাকার অভাবেই ম্যাচ অনিয়মিত থাকে, তাহলে এমন সাফল্য ধরে রাখা সম্ভব হবে কিনা? সে প্রশ্ন থেকেই যায়।

ইএ