এরকম খেলায় ভবিষ্যদ্বাণী করা বোকামি, তবু ফর্মের বিচারে সামান্য এগিয়ে আছে স্প্যানিশরা। কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তের নির্দেশনায় টিকিটাকা ছেড়ে প্রেসিং, পজিশনিং এবং প্রয়োজনমতো ড্রিবলিং করে বিপক্ষ বক্সে ত্রাসের সঞ্চার করছেন নিকো উইলিয়ামস, লামিন ইয়ামালরা।
অন্যদিকে ফ্রান্স এই টুর্নামেন্টে কিছুটা ভাগ্যের জোরে সেমিফাইনালে। ওপেন প্লে থেকে কোনও গোল করেনি দিদিয়ের দেশমের দল। একটি পেনাল্টি ও দুটি আত্মঘাতী গোল সম্বল তাঁদের। দৃষ্টিনন্দন ফুটবলও হচ্ছে না।
লা রোজারা এবার তরুণ তুর্কিদের নিয়ে গঠিত। আক্রমণভাগে নজর থাকবে দানি ওলমো এবং ফাবিয়ান রুইজের দিকে। দুই জনেই দুটি করে গোল করেছেন। জার্মানির বিপক্ষে ওলমোর পারফরম্যান্সই প্রমাণ করেছে তিনি কী করতে পারেন। তবে স্পেন দলে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে লামিনে ইয়েমাল। ১৬ বছর বয়সী এই তরুণ ফুটবলার উইং দিয়ে আক্রমণ করার ক্ষেত্রে নজর কেড়েছেন, সেমিফাইনাল ম্যাচে তাঁর দিকে বাড়তি নজর থাকবে। ডিফেন্সে নজর থাকবে জেসুস নাভাসের উপর। এমবাপে, গ্রিজম্যান সমৃদ্ধ ফরাসিদের আক্রমণকে রুখে দেওয়ার দায়িত্ব অনেকটাই থাকবে তাঁরই উপরে।
রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি রাইট-ব্যাক দানি কারভাহাল ও প্রভাবশালী ডিফেন্ডার রবিন লে নরম্যান্ড সাসপেনশন ভোগ করবেন, যখন পেদ্রি ইনজুরির কারণে সেমিফাইনাল এমনকি ফাইনালও মিস করবেন।
অন্যদিকে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মূল তারকা এমবাপ্পে। কিন্তু এবার তিনি খুব একটা ভালো ছন্দে নেই। এমবাপ্পেই এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে গোল করার একমাত্র ফরাসি খেলোয়াড়। যদিও সেটিও পেয়েছেন পেনাল্টি কিক থেকে। ফ্রান্সের দুটি জয় এসেছে আত্মঘাতী গোল থেকেই। মাঝমাঠে গ্রিজম্যানের সঙ্গে থাকবেন চুয়ামেনি। ফরাসি এই ফুটবলারই ফ্রান্স দলের আক্রমণ তৈরির নেপথ্যে রয়েছেন। ডিফেন্সে জুডেল কুন্দে বড় ভরসা ফ্রান্সের।
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পর্যন্ত ৯বার দেখা হয়েছে দুদলের। স্পেনের ৫ জয়ের বিপরীতে ফ্রান্সের ৩ জয় এবং ড্র হয়েছে এক ম্যাচ। ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচে দুটি করে জয়-পরাজয় ও একটি ড্র রয়েছে স্পেনের।