একজন হার না মানা মানুষ নিয়ে যদি গল্প লেখা হয়, আর সেই তালিকায় লিন্ডা কাইসেদোর নাম রাখাটা মোটেও বাড়াবাড়ি হবে না। এই কারণটা খুঁজতে আপনাকে অবশ্যই তার জীবনী সম্পর্ক জানতে হবে। বয়স মাত্র ১৯ হলেও এই অল্প জীবনে কিনা দেখেছেন কাইসেদো।
এই বয়সেই দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বসহ বিশ্বকাপের মতো আসরে। বর্তমানে খেলছেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। এর মধ্যে কোপা আমেরিকার সেরা ফুটবলার হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছেন। বিশ্বকাপে তার করা একটি গোল আসরের সেরার খেতাব পেয়েছে। ক্লাবের হয়েও আছে বহু অর্জন। তবে, তার সাফল্যেভরা জীবনে আছে লড়াইয়ের গল্পও। সেটাও তার নিজের জীবনের সাথেই। ২০২০ সালে আক্রন্ত হন ক্যান্সারে। অস্ত্রোপচারের পর সেখান থেকে ফিরেছেন মাত্র ৬ মাসে। এখন তাই অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার নাম তিনি।
কাইসেদোর জীবনে এবার যুক্ত হলো আরও একটি অর্জন। এবার বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিভাবান কিশোরী ফুটবলার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। আর এই অর্জনে তাকে পেছনে ফেলতে হয়েছে ২৫ জন সম্ভাবনাময় কিশোরী ফুটবলারকে।
মূলত, এনএক্সজিএন অ্যাওয়ার্ডটি দেয়া হয় ১৯ বছর কম বয়সী ফুটবলারদের। আর এটা যাচাই-বাছাই করেন ফুটবল বিশ্লেষকরা।
২০১৬ সালে থেকে সেরা কিশোর ফুটবলারের পুরস্কার দেয়া শুরু হলেও মেয়েদেরকে ২০২০ সাল থেকে দেয়া হয়। লিন্ডাসহ এখন পর্যন্ত এই অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন লিনা ওবারড্রফ, হ্যানা বেনসন ও মেলচি। এছাড়া কিশোর হিসেবে এনএক্সজিএন অ্যাওয়ার্ড জয়ীদের মধ্যে আনসু ফাতি ও জুড বেলিংহ্যাম অন্যতম।