ফুটবলে দীর্ঘদিন ধরেই সাফল্যে পাচ্ছে না ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সবশেষ ১২ বছর আগে জিতেছিল প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা। যদিও সেই অর্জনে এখনো সবার উপরে রেড ডেভিলরা। এছাড়া গত ৭ বছরেও কোন ইউরোপীয় শিরোপা জিততে পারেনি টেন হাগের শিষ্যরা। তবে সুখবর হচ্ছে ক্লাব ফুটবলে সবচেয়ে দামি তালিকার শীর্ষে উঠেছেম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, যেখানে তাদের বাজারমূল্য ৬শ' ২০ কোটি মার্কিন ডলার।
ইউরোপীয় ফুটবলে আবার সাফল্যের চূড়ায় আছে রিয়াল মাদ্রিদ। এরইমধ্যে জিতে নিয়েছে লিগ শিরোপাও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছে লস ব্লাঙ্করা। একই সাথে দীর্ঘদিন দামি ক্লাবের তালিকায়ও শীর্ষে ছিল তারা। তবে এবার দুয়ে নেমে এলো রিয়াল। ক্লাবটির বর্তমান বাজার দর ৬০৬ কোটি ডলার।
সময়টা খুব ভালো না গেলেও দামি ক্লাবের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে বার্সেলোনা। ক্লাবটির বর্তমান বাজারমূল্য ৫শ' ২৮ কোটি ডলার। চলতি মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেছে কাতালান ক্লাবটি। শুরুতে ব্যর্থতার দায় নিয়ে বার্সা ছাড়ার কথা থাকলেও সব নাটকের অবসান ঘটিয়ে আগামী মৌসুমের জন্যও দলটিতে কোচ হিসেবে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাভি হার্নান্দেজ।
চলতি মৌসুম শেষেই লিভারপুল ছাড়ছেন কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। যদিও ক্লাবের হয়ে শেষটা রাঙ্গাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এই মৌসুমে সাফল্য না পেলেও দামি ক্লাবের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে আছে অলরেডরা। তাদের বাজার দর ৫শ' ১১ কোটি ডলার।
ধনী ক্লাবের তালিকায় পঞ্চম স্থানে বায়ার্ন মিউনিখ। বুন্দেসলিগার সাবেক চ্যাম্পিয়নদের বাজার দর ৪শ' ৮০ কোটি ডলার। বায়ার্ন আর বার্সার অবস্থা প্রায় একই। দীর্ঘ এক দশক পর লেভারকুসেনের কাছে লিগ শিরোপা হাত ছাড়া হয়েছে দলটির। এছাড়া সব আসর থেকেই খালি হাতে ফিরছে বায়ার্ন।
মূলত ক্লাবগুলো সাফল্য, ব্রান্ড ভেল্যু, সম্পদের পরিমাণ ও অর্থনৈতিক অবস্থাসহ সবকিছু বিবেচনায় নির্ধারণ করা বাজারমূল্য। তবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডর শীর্ষে ওঠার অন্যতম কারণ সম্প্রতি ব্রিটিশ ধনকুবের র্যাটক্লিফ ক্লাবটির ২৫ শতাংশ কিনে নেয়ায়।
এছাড়া শীর্ষ বিশ ধনী ক্লাবের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে মেসির ইন্টার মায়ামিসহ যুক্তরাষ্ট্রের তিন ক্লাব। তবে নেই সৌদির কোন দল।