সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ মানেই অর্জনের আর গর্বের গর্জন বাংলার নারীদের। জাতীয় দল থেকে অনূর্ধ্ব-১৯ দু'টি আসরের শিরোপাই বাংলার ঘরে। যে সাফল্য ছেয়ে গেছে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও। আরেকটা সাফ মিশন। আরেকবার স্বপ্ন ট্রফি ছোঁয়ার। সংকল্পবদ্ধ আফিদারা। কিন্তু, রুদ্ধপথ। নিয়েছে সবাই চ্যালেঞ্জ। করতে হবে আরেকবার স্বপ্ন জয়।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল দলের অধিনায়ক আফিদা খন্দকার বলেন, 'আমরা সবাই একসাথে, একই কোচের কাছে অনুশীলন করি। কোচ সিনিয়রদের যেভাবে বলেন আমাদেরও সেভাবে করতে বলেন। আশা করি আমরা সিনিয়রদের মতো ভালোকিছু করতে পারবো।'
কমলাপুরের টার্ফ বাংলাদেশের জন্য পয়মন্ত। সাফের বয়সভিত্তিক সবগুলো টুর্নামেন্টে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। এবারের পরীক্ষা কি কঠিন হবে আফিদাদের? নতুন ফুটবলারদের ওপরই আস্থা রাখতে চান প্রথমবার সাফে জুনিয়দের নেতৃত্ব দেয়া কোচ সাইফুল বারী টিটু।
তিনি বলেন, 'আগে কখনও একসাথে খেলেনি এমন একটা দল এটা। বেশকিছু খেলোয়ার আছে যারা প্রথমবার খেলছে। এটা নিয়ে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে কাজ করেছি আমরা। আশা করি ভালো ফল হবে।'
বাংলাদেশ বয়সভিত্তিক নারী ফুটবলারদের সাফল্য বরাবরই প্রশংসনীয়। তার উপর ঘরের মাঠ হলেতো কথাই নেই। মাঠে নামলেই জ্বলে ওঠেন জুনিয়ররা। বাফুফে ক্যাম্প থেকে পাঁচতারকা হোটেলে ফুটবলাররা। জায়গার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মাঠের ফলাফলেও কি সাড়া জাগানো ফলাফল করতে পারবেন আফিদারা।
অধিনায়ক বলেন, 'প্রত্যেকবার যেভাবে খেলে আসছি সেভাবে খেলার চেষ্টা করব। পরিবারের মতো সবাই আমরা একসাথে থাকি।'
অচেনা প্রতিপক্ষ নেপাল। বেশিরভাগ খেলোয়াড়ের বাংলাদেশে খেলার অভিজ্ঞতা না থাকলেও নিজেদেরকে সেরা মানছেন হিমালয়ের দেশটি।
জাতীয় দল থেকে বয়সভিত্তিক সব ধরনের প্রতিযোগিতায় নেপালের বিপক্ষে ফুটবলে এগিয়েই আছে বাংলার মেয়েরা। তবে, কমলাপুরে কে এগিয়ে যায় তার অপেক্ষায় থাকতেই হচ্ছে।