ক্যারিয়ারজুড়ে ফুটবলপ্রেমিকদের কম আনন্দ দেননি লিওনেল মেসি। মুহূর্তের ঝলকানিতে মুগ্ধ করেছেন কোটি মানুষকে। অসংখ্য রাত রাঙিয়েছেন একক নৈপুণ্যে। আর অর্জন হিসাব করতে গেলে কাগজ-কলম নিয়ে বসতে হবে। দলীয় বা ব্যক্তিগত কত ট্রফি যে আছে শোকেসে তার হিসাব মেলানো বড় কঠিন।
এ সবকিছুর শুরু হয়েছিল আজ থেকে আরও দুই যুগ আগে, ছোট্ট একটা ন্যাপকিন পেপারে। আর্জেন্টিনার ছোট্ট শহর রোজারিওর ক্ষুদে বালক লিওনেল মেসির পায়ের কারিকুরি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার স্কাউট টিম।
এতটাই মুগ্ধ হয়ছিল যে, এই বিস্ময় বালককে হারানোর ভয়ে তড়িঘড়ি করে তার সঙ্গে চুক্তি করে নেন বার্সার তৎকালীন টেকনিক্যাল সেক্রেটারি কার্লেস রেক্সাস ও হোসে মারিয়া মিঙ্গুয়েলা। হাতের কাছে কোন কাগজ-কলম না পেয়ে মেসির সঙ্গে তারা চুক্তি সেরে নেন একটি টিস্যু পেপারে। সেখানে নীল কালিতে আঁকা মেসি আর বার্সা প্রতিনিধিদের স্বাক্ষর।
দিনে দিনে বার্সার হয়ে ক্ষুদে তারকা প্রস্ফুটিত হয়েছেন, অর্জনের ভান্ডার পূর্ণ হয়েছে। আর সেই ন্যাপকিনটিও হয়ে উঠেছে বিখ্যাত। পরম যত্নে সেটি এতদিন রক্ষিত ছিল মেসির তৎকালীন প্রতিনিধি হোরাসিও গ্যাগিওলির কাছে। তার সুপ্ত বাসনা ছিল, অমূল্য এই ন্যাপকিন পেপারটিকে জমা রাখবেন ক্লাব বার্সেলোনার জাদুঘরে। এতদিন এই পেপারটি ছিল আনুগত্য আর ভালোবাসার প্রতীক।
কিন্তু ২০২১ সালে বার্সালোনা ছাড়ার পর তাদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে লিওনেল মেসির। তাই এবার সেটি নিলামে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ব্রিটেনের বিখ্যাত নিলাম প্রতিষ্ঠান বোনহামাসে তোলা হচ্ছে বিখ্যাত এই ন্যাপকিনটি। মার্চের ১৮ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই নিলাম। লিওনেল মেসির ক্যারিয়ারের বাঁক বদলে দেয়া ছোট্ট এই ন্যাপকিন পেপারটি নিলামে তুলতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত উদ্যোক্তারা।
তাদের প্রত্যাশা, অন্তত ৩ থেকে ৫ লাখ ইউরোতে এটি বিক্রি করতে পারবেন তারা।