ফুটবল আধুনিকায়নের সাথে সাথে বাড়ছে প্রযুক্তি ব্যবহারও। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে র্যাংকিং বা শক্তির বিচারে পিছিয়ে থাকা দলগুলোও ফুটবলের পরাশক্তির দলগুলোর বিপক্ষে লড়ছে পাল্লা দিয়ে। ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপে সবাইকে চমকে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাইনালে ওঠে আফ্রিকার দেশ মরক্কো।
আশ্রারাফ হাকিমি, ইয়াসিন বুনোদের এই দল ভালো করার পিছনে রয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহার। আফ্রিকান দেশটির তথ্য বিশ্লেষেক কিংস্টনের মতে, প্রত্যক ম্যাচের আগে দীর্ঘ সময় ধরে শুধু প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড় নিয়েই বিশ্লেষণ করা হতো।
যেমন স্পেনের খেলোয়াড় বেশিরভাগ সময় নিজেদের কাছে বল রাখতে বেশি পছন্দ করে। বল দখলে এগিয়ে থাকা দলগুলোকে কিভাবে রুখে দিতে হয় এ নিয়ে কাজ করেছে মরক্কো। ফলে স্পেনের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে জয় পায় আফ্রিকান দেশটি।
বিশ্বকাপে মরক্কোর ফুটবল বিশ্লেষক কিংস্টনরের তথ্য মতে, বড় আসরগুলোতে ম্যাচ চলাকালীন সময় একজন ফুটবলাররে জন্য আটটি ক্যামেরা নির্ধারিত থাকে। এরফলে প্রতি সেকেন্ডে এক একজন ফুটবলারের ২৫ রকমভাবে গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। আর এসব ভিডিও থেকে মূলত ফুটবলারদের নিয়ে বিশ্লেষণ করা।
শুধু তাই নয় ম্যাচ চলাকলীন সময় একজন ফুটবলার কতোক্ষণ তার পায়ে বল রাখে কিংবা কিভাবে আক্রমণ চালানো হয়। কোন দলের শক্তির জায়গা কোনটি সবকিছু বিশ্লেষণ করা হয় ম্যাচের আগে। এমনকি প্রতিপক্ষের আক্রমণের গতিবিধির বিস্তারিত থাকে বিশ্লেষকদের পর্যবেক্ষণে।
কাতার বিশ্বকাপে এমন একশ জন ফুটবল বিশ্লেষক নিয়োগ দিয়েছিলো ফিফা। যার নেতৃত্বে ছিলো ব্রিটন লিক্সটন। যারা পুরো কাতার আসর জুড়ে প্রত্যেক দল নিয়ে আলাদা বিশ্লেষণ করেছেন। সবচেয়ে বেশি বিশ্লেষণ করা হয়েছে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা দল নিয়ে।
২০১৪ সালে জার্মানিন বিশ্বকাপ জয়ের পেছনেও অন্যতম ভূমিকা ছিলো তথ্য বিশ্লেষকদের। এছাড়া ২০১৫ এশিয়ান কাপে আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের ভালো খেলার অন্যতম কারণ প্রযুক্তির ছোঁয়া। যে প্রযুক্তির উৎকর্ষণ কাতার বিশ্বকাপে দারুণ ভাবে উপভোগ করেছে ফুটবল বিশ্ব।