গেল বছর অঢেল অর্থের বিনিময় ফুটবলের নামিদামি তারকাদের দলে ভিড়িয়ে ইউরোপীয় ফুটবলের ভিত নাড়িয়ে দেয় সৌদির ক্লাবগুলো। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, নেইমার, কারিম বেনজেমা, হ্যান্ডারসন, সাদিও মানে, রিয়াদ মাহারেজসহ হালের অনেক সেরা ফুটবলারই যান মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে খেলতে।
তবে বছর ঘুরতেই এবার একে একে সৌদি ছাড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ফুটবলাররা। রোনালদো, বেনজেমাদের মতোই মোটা অংকের পারিশ্রমিক পাওয়া হেন্ডারসন এরইমধ্যে ছেড়েছেন তার ক্লাব আল ইত্তিফাক। মূলত, খেলার পাশাপাশি মাঠের বাইরের ভূমিকায়ও বেশ আলোচনায় ছিলেন লিভারপুলের সাবেক এই অধিনায়ক। সমকামিতার পক্ষে সাফাই গাওয়া এই ফুটবলার সৌদি আসার পরই শুরু হয় নানা সমালোচনা।
এছাড়া সৌদির আবহাওয়া, খেলার মান, স্টেডিয়ামে স্বল্প দর্শক উপস্থিতিসহ সবকিছু মিলিয়ে হতাশ হয়ে পড়েন হ্যান্ডারসন। ফলে এতো অর্থ পাওয়ার পরও মাত্র ছয় মাসেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। যোগ দিচ্ছেন নেদারল্যান্ডসের ক্লাব আয়াক্সে। এমনকি তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয় জানান, আল ইত্তিফাকে কাটানো এই কয়েক মাস তার জন্য ছিল বেশ কঠিন।
এবার গুঞ্জন ফ্রেঞ্চ তারকা কারিম বেনজেমাও ছাড়তে পারেন তার ক্লাব। আবারও ফিরতে চান ইউরোপে। তবে তার পুরানো ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে যে ফিরছেন না এটা মোটামুটি নিশ্চিত।
মূলত বিশ্বকাপ আয়োজনের লক্ষ্যেই তারকা ফুটবলারদের পেছনে অর্থ ঢালছে সৌদি। তবে, তাদের প্রস্থান কিছুটা হলেও বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনা হুমকির মুখে ফেলতে পারে বলে ধারণা ফুটবলবোদ্ধাদের।
আপাতত এসব নিয়ে ভাবছে না সৌদি। ২০৩৪ বিশ্বকাপ আয়োজনের লক্ষ্যে পরিকল্পনা মতোই এগোচ্ছে দেশটি। এরইমধ্যে বিশ্বকাপ ঘিরে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক স্টেডিয়ামের নাকশা প্রকাশ করেছে দেশটি। যেটি পুরোটাই হবে এলইডি। স্টেডিয়ামে ২০০ মিটার উচ্চতায় করা হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এলইডি স্ক্রিন। এছাড়া স্টেডিয়াম ঘিরে চারপাশে কৃত্রিম লেকও তৈরি করা হবে।
শুধু তাই নয় ফুটবল ভক্তদের জন্য ২০টিরও বেশি এলইডি কিউব স্থাপন করা হবে এই স্টেডিয়ামে। ফলে স্টেডিয়ামের বাইরে থেকেও সবচেয়ে আধুনিক উপায়ে খেলা উপভোগ করতে পারবেন ভক্তরা। তবে, এই স্টেডিয়ামের ব্যয় নিয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।