বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ যেন রূপ নিয়েছে মেগা প্রকল্পে। বারবার পরিকল্পনা পরিবর্তনের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সংস্কার বাজেটও। প্রায় ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প দ্বিতীয় দফায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৯ কোটি টাকায়।
স্টেডিয়ামের সবচেয়ে বড় ব্যয় ধরা হয়েছিল ফ্লাড লাইটে। শুরুর দিকে ১৪ কোটি থাকলেও, সেটি বেড়ে এখন ৪০ কোটি টাকা। মূলত বাফুফের আপত্তিতে এলইডি লাইট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় এনএসসি। প্রথমে গ্যালারির একাংশে শেড স্থাপনের কথা থাকলেও, পরবর্তীতে সৌন্দর্য বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় পুরো গ্যালারি জুড়েই শেড লাগানো হবে। আর এতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণ। অর্থাৎ শুধু শেড স্থাপনে ২০ কোটি টাকার জায়গায় খরচ হবে ৪০ কোটি টাকা।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সচিব পরিমল সিংহ বলেন, 'গত একনেকে প্রায় ১৫৯ কোটি টাকা পাস হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান তিনটি কাজের একটি এলইডি লাইট, এতে ১৫ কোটি খরচ হওয়ার কথা থাকলেও ২৬ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে।'
বর্তমান বাজেট দীর্ঘদিন একনেকে ঝুলে থাকলেও অবশেষে সেটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চলতি মাসের শেষদিকে সংস্কারের নতুন বাজেটের দরপত্রের আহ্বান করবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। আর ফেব্রুয়ারি, মার্চ মাসের মধ্যেই শুরু করা হবে সংস্কারের বাকি অংশ। যা শেষ করার সময় এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
পরিমল সিংহ আরও বলেন, 'আমাদের কাজের শেষ সময় দেয়া আছে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। আশা করছি এ মাসের শেষের দিকে টেন্ডার চালাতে পারব।'
অক্টোবরে আসন্ন নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজক হবে বাংলাদেশ। বাফুফে চাইলে সাফের এ আসর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আয়োজন করতে পারবে। সেক্ষেত্রে গ্যালারির কিছু কাজ অসম্পূর্ণ থাকতে পারে। তবে, মাঠ খেলার উপযোগী হয়ে উঠবে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সচিব জানান, 'সাফ এর কথা মাথায় রেখে আগাবো। আমাদের শেষ সময় ডিসেম্বরে হলেও অক্টোবরকে টার্গেট করে আমরা কাজে আগাবো।'
এছাড়া ড্রেসিংরুম, মাঠে পানি নিষ্কাশন যন্ত্রও নতুন করে সংস্কর করা হবে। মূলত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বাফুফের সমন্বয়হীনতার কারণে দ্বিতীয় দফায় ড্রেসিংরুম ও মাঠে পানি নিষ্কাশন যন্ত্র নতুনভাবে স্থাপন করতে হচ্ছে। বারবার সংস্কারের কাজের মেয়াদ বাড়লেও এবার সময়মত শেষ হয় কি না, সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।