প্রাণের খেলা জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। মুখ থুবড়ানো ফুটবলে ধীরে ধীরে ফিরছে প্রাণ। স্বপ্ন দেখছে ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বিশ্বকাপের মঞ্চে যাওয়ার। সেই ফুটবলকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করতে প্রয়োজন বাফুফের বয়সভিত্তিক দলকে শক্তিশালী করা। ফিফার সহযোগিতায় সেই দিকে এগিয়ে চলেছে দেশের ফেডারেশন।
প্রথমবার বাফুফে আয়োজন করতে যাচ্ছে একাডেমী চ্যাম্পিয়নশীপ। প্রতিযোগিতায় সারাদেশে বাফুফের তারকাপ্রাপ্ত ১৭০ একাডেমীর মধ্যে হবে লড়াই। ১৯ জেলার ২৪ টি ভেন্যুতে গ্রুপভিত্তিকভাবে হবে এই টুর্নামেন্ট । এরপর ২৪ জোনের ২৪ চ্যাম্পিয়ন একাডেমী খেলবে নক আউট পর্ব।
সেখান থেকে বিজয়ী ১২ একাডেমী উঠবে চূড়ান্ত পর্বে । দুই গ্রুপে বিভক্ত করা হবে দলগুলোকে। পরবর্তীতে দুই গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল যাবে সেমিফাইনালে।
প্রথমবারের মতো আয়োজিত টুর্নামেন্ট থেকে সেরা ফুটবলার খুঁজে পাওয়াই লক্ষ্য বাফুফের। ভবিষ্যতে এমন আয়োজনে আশাবাদী বলে জানান বাফুফে ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান।
বাফুফে ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, 'এ টুর্নামেন্ট হওয়ার সাথে সাথে প্রত্যেকটি একাডেমির মধ্যে সারা জাগবে। নিয়মিত টুর্নামেন্ট করতে থাকলে খেরোয়ার বের হয়ে আসবে।'
টুর্নামেন্ট আয়োজণে বাফুফের প্রাথমিক বাজেট ৮০ লাখ টাকা। তবে ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট স্কিমের আওতায় বাফুফে ফিফা থেকে বিশেষ বরাদ্দ পেয়েছে এক কোটি টাকা। আসরে অংশগ্রহণকারী প্রতিটা দল এবং চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ দলের জন্য রাখা হয়েছে প্রাইজমানি।
এছাড়া আসর জুড়ে সেরা খেলোয়াড়ের সন্ধানে নির্দিষ্ট কোচদের জায়গাভেদে সম্মানি হিসেবে দেয়া হবে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা।
আতাউর রহমান আরও জানান, 'কোচদের টাকা দেওয়া হবে, তারা প্রত্যেকটি খেলার রিপোর্ট আমাদের দেবে। একাডেমীগুলোকে অংশগ্রহণ করার জন্য দেওয়া হচ্ছে ১০ হাজার টাকা। ফাইনাল রাউন্ডে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।'
১৯ ডিসেম্বর কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফে হবে অনূর্ধ্ব ১৫ টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ।





