প্রথম ম্যাচ শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে সিঙ্গাপুরের মরোক্কান কোচ করিম বেনশেরিফা বলছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ম্যাচ দুটি কেবল তাদের আগামীর প্রস্তুতির অংশ, সে ম্যাচেই স্বাগতিকদের কাছে দেশটি হেরেছিল ৩-০ গোলে।
এবার তো দ্বিতীয় ম্যাচের আগে জার্মানি থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছিল দলটির সেরা ফুটবলার দানিলে ট্যানকে। জার্মানির প্রথম সারির ক্লাব বুরুশিয়া ডর্টমুন্টর হয়ে খেলেন দানিলে ট্যান।
তাঁকে নিয়ে আলাদাভাবে ম্যাচের ছক এঁকেছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন কোচ, এরপরেও ম্যাচের ভাগ্য পালটাতে পারেনি সিঙ্গাপুর। এবার আরও নাজেহাল অবস্থা সফররত দলটির।
তহুরা, সাবিনা, সানজিদাদের কাছে পাত্তাই পাইনি সিঙ্গাপুর। ম্যাচের ১০ মিনিটে অন্তত সহজ তিনটি গোলের সুযোগ মিস করেন সাবিনা। তবে ম্যাচের ১৬ মিনিটে আর মিস করলেন না মেসিখ্যাত তহুরা খাতুন। তার হেড থেকেই প্রথম লিড পায় বাংলাদেশ। এর দুই মিনিট পরেই ঋতুপর্ণার গোলে আবারও এগিয়ে যায় লাল সবুজের জার্সিধারীরা।
২৪ মিনিটে আবারও সেই তহুরার গোল। প্রথমার্ধে পার্থক্যটা আরও বাড়তে পারত, কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে সেটা পূরণ হয়নি। বাংলার মেয়েরা ৩-০ তে এগিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়ে ।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ আরও শানিয়ে তোলে সানজিদা-ঋতুরা। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে সানিজদার পা থেকে আসে দলীয় চতুর্থ গোল। ৬২ মিনিটে ম্যাচের পার্থক্য ৫-০ করতে ঋতু করেন তার দ্বিতীয় গোল।
ম্যাচের ৭৫ মিনিটে সানজিদাও তহুরাদের কাতারে যোগ দেন। অধিনায়ক সাবিনা, শেষদিকে সুমাইয়া ও শামসুন্নহরের গোলে ৮-০ বাবধানের বিশাল জয় পায় সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েদের বড় জয় ভুটানের বিপক্ষে ৯-০ গোলে। আজ হয়তো সে রেকর্ড আবারও নতুন করে লিখতো বাংলার মেয়েরা। তবে, রেকর্ড না হলেও, র্যাংকিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বিশাল জয়ে নিজেদেরও যে আরও উন্নতি হতে যাচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
বর্তমানে র্যাংকিয়ে ১৩০ নম্বরে আছে সিঙ্গাপুর আর বাংলাদেশের অবস্থান ১৪২ এ।