ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটকে অনেকেই দেশের ক্রিকেটের মেরুদণ্ড বা চালিকাশক্তি বলে থাকেন। নতুন ক্রিকেটার তুলে আনা থেকে শুরু করে পরিচর্যা, প্রায় সবটারই শুরু হয় ক্লাব ক্রিকেট থেকে। তবে গেল অক্টোবরে বিসিবি নির্বাচনের পর থেকেই টালমাটাল ঢাকার এই ক্লাব ক্রিকেট। বেশ কিছু অভিযোগ তুলে নির্বাচনে অংশ নেয়নি অনেক ক্লাব। যারা দিয়েছে সামনে শুরু হতে যাওয়া লিগগুলোতেও অংশ না নেওয়ার হুমকি।
ক্লাব ক্রিকেট থেকেই দেশের ক্রিকেটারদের বড় একটা অংশের রুটি-রুজির ব্যবস্থা হয়। আর তাই শীর্ষ কিছু ক্লাব লিগে না খেলার হুমকি দেয়ায় ক্রিকেটারদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। যদি কোনো ক্লাব শেষ পর্যন্ত লিগগুলোতে অংশ না নেয়, সেক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের স্বার্থ রক্ষায় কি ভাবছে বিসিবি?
বিসিবির সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আঞ্চলিক ক্রিকেটকে যদি ছড়িয়ে দিতে পারি তখন আমাদের দেশের ক্রিকেটে আমরা আরও ট্যালেন্ট পাবো। এটা ক্লাব ক্রিকেটকে দমানোর জন্য না। এমনিতেই কিন্তু আমাদের দরকার এখন ক্রিকেটকে ডিসেন্ট্রালাইজড করে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেয়া।’
আরও পড়ুন:
ভবিষ্যতে যেন ক্লাবগুলো এমন অচলাবস্থা তৈরি করতে না পারে, সে জন্য গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনা হবে কিনা এ বিষয়েও বোর্ডের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন ফারুক আহমেদ।
বিসিবি নির্বাচনে বর্তমান পরিচালকদের বিপরীতে ছিলেন তামিম ইকবাল। তবে দেশের ক্রিকেটের স্বার্থে তার দল লিগে অংশ নেবে বলে জানিয়েছে বিসিবি। প্রতিপক্ষে থাকা তামিমের দল লিগে অংশ নিলেও বাকি দলগুলো কেন অংশ নিতে চাচ্ছে না, সে প্রশ্নও করা হয়েছিল বিসিবি পরিচালকের কাছে।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘তামিম তো রিয়েলাইজ করেছে যে, না খেলা হওয়াটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য, খেলোয়াড়দের জন্য এর চেয়ে বড় ক্ষতিকারক কোনো কারণ হতে পারে না। আপনাদের যতকিছু বলার আছে, যা আছে, সবকিছুর কিন্তু অনেক ধরনের প্রতিবাদ আছে। ওইটা আপনি করেন, কিন্তু ক্রিকেটের মাঠে খেলাটা চালিয়ে যেতে দিয়েন।’
সব তিক্ততা ও অপ্রাপ্তি ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে চান ফারুক আহমেদ। দেশের ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের স্বার্থে ক্লাবগুলোর কাছে বিশেষভাবে অনুরোধও করেছেন তিনি।
ক্লাবগুলো শেষ পর্যন্ত লিগে অংশ না নিলেও এখনই কঠোর অবস্থানে যেতে রাজি নয় বিসিবি। বরং সময় নিয়ে ধীরে ধীরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চায় দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বিসিবির বিশ্বাস, সব দলকে নিয়ে সুষ্ঠুভাবেই আয়োজিত হবে সকল স্তরের লিগ।৮





