আকর্ষণ বাড়াতে বিপিএলে ফিরলো নিলাম। তবু সেখানে দল গঠন নিয়ে রয়ে গেছে প্রশ্ন। ফিক্সিং কমাতে প্রতি দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন তদন্ত কর্মকর্তা। কিন্তু তাতেও গুঞ্জন থামছে না পুরোপুরি। বিপিএল নিয়ে বিসিবির নতুন কমিটির ব্যাপক তোড়জোড় থাকলেও পুরাতন সংস্কৃতিকে ছেঁটে ফেলা যেন একেবারেই অসম্ভব বিপিএলের জন্য।
প্রতি বছরই বিপিএল শুরুর দিনকয়েক আগে অনুশীলনের জন্য মাঠ বুঝে পায় দলগুলো। এবারেও টুর্নামেন্ট শুরুর ২ সপ্তাহ বাকি থাকতে মাঠে নেই কোনো দলই। এমন সূচি কোনোভাবেই দলগুলোর প্রস্তুতির জন্য আদর্শ নয় বলেই মেনে নিচ্ছেন টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য হাবিবুল বাশার সুমন।
হাবিবুল বাশার বলেন, ‘বড় একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলতে যাবেন অন্তত এক মাসের একটা প্রশিক্ষণ তো দরকার হয় টিমটা তৈরি করার জন্য। এটা বিপিএলের ট্রেন্ড হয়ে গেছে। বিপিএলে আপনি দেখবেন টিমগুলো ৭ দিন আগে অনুশীলন শুরু করে। ১০ দিনের মধ্যে অন্য সবকিছু গোছানো শুরু করে। এটা আসলে আমার কাছে মনে হয় যে যেহেতু এখন অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট হয় তাই বিদেশি খেলোয়াড়দের এত আগে পাওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু দেশের খেলোয়াড় যারা আছেন তারা অন্তত দল গঠনের পর অনুশীলন করতে পারেন।’
আরও পড়ুন:
বিপিএলের বড় আকর্ষণ বিদেশি ক্রিকেটার। যদিও আইএল টি-টোয়েন্টি আর এসএ টোয়েন্টির কারণে বিদেশিদের সংকট থেকেই যাচ্ছে। অনেকের মতো হাবিবুল বাশার সুমনও বিশ্বাস করেন, মান বাড়াতে বিপিএলের স্লট পরিবর্তনের কথা ভাবতে পারে বিসিবি।
হাবিবুল বাশার বলেন, ‘একটা দলের সাফল্যের ক্ষেত্রে কিন্তু অনেকটা নির্ভর করে ওভারসিজ প্লেয়াররা কেমন আসছে তার ওপর। আমরা যখন প্রথম শুরু করেছিলাম তখন বিপিএলে যেসব প্লেয়াররা আসতো, তখন কিন্তু বিপিএল আইপিএলের পরে ছিলো। স্ট্যান্ডার্ড অতটা হাই ছিলো। সবাই খেলেছিলো। তখন এত ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট ছিলো না। এজন্য টাইম ফ্রেমটা চিন্তা করতে হতো না। আইপিএলের টাইম ফ্রেমটা চিন্তা করলেই হয়ে যেতো। কিন্তু এখন তো অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট হয়। খেলোয়াড়রা সবাই ব্যস্ত থাকেন। তাদের পাওয়াটা মুশকিল হয়। সেক্ষেত্রে আপনি যদি ভালো টুর্নামেন্ট চান তাহলে টাইম ফ্রেমটা পাল্টালে টুর্নামেন্টের জন্য ভালো হবে।’
তবে এতসব প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়েও ফিক্সিং আর পারিশ্রমিক বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকবে ২০২৬ বিপিএল। এমনটাই বিশ্বাস করেন টেকনিক্যাল কমিটির এই সদস্য।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি প্লেয়ারদের পেমেন্টের কথা বলেন তাহলে সেটা তো একটা ফরম্যাট করাই আছে। অকশনের বাইরে তো আসলে টিম কিছু করে না। কিন্তু অকশনে যা আছে তাদের তো সব ঠিকঠাক থাকে। আর ফিক্সিং ইস্যু তো কমবেশি কথা হয়েই থাকে। কিন্তু আমার মনে হয় এবার বিসিবি অনেক স্ট্রিক্ট। কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন টুর্নামেন্ট স্বচ্ছ রাখার জন্য।’
২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বিপিএল। অল্প কদিন বাকি থাকলেও এখন পর্যন্ত আবেদন তৈরি করতে পারেনি ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এই আসর। বিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য বাশার অবশ্য আশা করছেন, মাঠে খেলা গড়ালেই আবার সাড়া ফেলবে বিপিএল।





