সিরিজ হারের শঙ্কা কাটিয়েছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ জিতে ২-১ এ সিরিজ নিশ্চিত করেছে লিটন দাসের দল। চট্টগ্রামের মাঠে পরে ব্যাট করে ৩৮ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটে জয় পায় টাইগাররা। যে জয়ে স্বস্তি নিয়েই বছর শেষ করতে যাচ্ছে ফিল সিমন্সের শিষ্যরা।
জিততে হলে ১২০ বলে বাংলাদেশকে করতে হবে ১১৮ রান। টি-টোয়েন্টিতে যা মোটেও কঠিন কাজ নয়। লক্ষে নেমে শুরুটা ভালো করলেও ১৯ রান করে আউট হন ওপেনার সাইফ হাসান। এরপর ক্রিজে এসে থিতু হতে পারেননি অধিনায়ক লিটন দাস, প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন মাত্র ৬ রান করেই।
তবে বিপদ হতে দেননি ওপেনার তানজিদ তামিম ও টু ডাউনে নামা পারভেজ হোসেন ইমন। এই দুই ব্যাটারের নৈপুণ্যে হেসে-খেলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ। ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তানজিদ আর ইমন করেছে ৩৩ রান।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আয়ারল্যান্ড। দুই ওপেনার শুরুটা ভালো করলেও টিম টেক্টরকে বোল্ড করে আইরিশদের ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন ঘটান শরিফুল। এরপর দলীয় ৫০ রানে হ্যারি টেক্টরকে আউট করে উইকেট শিকারির তালিকায় নাম লেখান মোস্তাফিজুর রহমান। ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১ রান যোগ করে মাহেদী হাসানের বলে লেগ বিফর হয়ে ফেরেন লরকান টাকার।
কার্টিস ক্যাম্ফারকে বোল্ড করেন রিশাদ হোসেন। একপাশ আগলে খেলতে থাকা অধিনায়ক পল স্টারলিংও স্ট্রাগল করে ফেরেন ৩৮ রান করে। এরপর টাইগার বোলারদের দাপটে কোনো ব্যাটার দাঁড়াতে না পারলে ১১৭ রানে অলআউট হয় আইরিশরা। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন রিশাদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
সিরিজ জয়ের এই ম্যাচে নতুন এক কীর্তি গড়েছেন ওপেনার তানজিদ তামিম। আন্তর্জাতিক কোনো টি-টোয়েন্টির এক ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। এর আগে ৩ ক্যাচ নিয়ে এই রেকর্ডটি ছিলো ইলিয়াস সানির।




