ধৈর্য ও মনোযোগে গড়া ইনিংসে মুশফিক চতুর্থ বাউন্ডারি মেরেছিলেন ৭৩তম ওভারে—গ্যাভিন হোয়ির বলে মিডউইকেট দিয়ে চার মেরে ৬৭ থেকে ৭১-এ পৌঁছান তিনি। এরপর থেকেই প্রশ্ন, আজই হবে কি সেঞ্চুরি? ৮৪তম ওভারে পঞ্চম বাউন্ডারি মেরে ৯০ ছোঁয়ার পর সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়।
দিনের শেষ ওভারে স্ট্রাইকে ছিলেন মুশফিক। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে লিটনকে স্ট্রাইক দেন। লিটনও সিঙ্গেল নিয়ে তাকে ফের স্ট্রাইক ফেরত দিলে পঞ্চম বলে মুশফিক সুইপ শটে বল আকাশে তুলেছিলেন একটু—ভক্তদের বুক ধক করে উঠেছিল। কিন্তু ক্যাচ হয়নি, বল চলে যায় ডিপ স্কোয়ার লেগে। সবাই ভেবেছিল দুই রান নিয়ে শতক পূর্ণ করবেন। কিন্তু নিলেন শুধু একটি। শেষ বলে লিটন ডট খেললে ৯৯ রানে থেমে যেতে হয় মুশফিককে। এভাবেই শেষ হয় প্রথম দিনের খেলা।
আরও পড়ুন:
২৮তম ওভারে দলের ৯৫ রানে নাজমুল হোসেন শান্ত (৮) আউট হলে নামেন মুশফিক। এরপর মুমিনুল হকের সঙ্গে ১০৭ রানের জুটি গড়েন। চা বিরতির পর ১০৯ বল খেলে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। কিছুক্ষণ পর ৬৭ রান করে মুমিনুল আউট হন।
এরপর লিটন দাস ব্যাটিংয়ে নেমে সতর্ক ব্যাটিংয়ে রান বাড়াতে থাকেন। ৮৬ বলে ৪৭ রানের ইনিংসে লিটনের বাউন্ডারি মাত্র ২টি। মুশফিক ১৮৭ বলের ইনিংসে নিয়েছেন ৬৪টি সিঙ্গেল, ৫টি ডাবল এবং একটি তিন রান।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম বলটিও তার খেলতে হবে। আর মাত্র এক রান তুলে সেঞ্চুরি করলে তিনি শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করা বিশ্বের দ্বাদশ ব্যাটসম্যান হবেন।





